images

আন্তর্জাতিক

আটক অবস্থায় গ্রেটা থুনবার্গের ওপর ‘নির্যাতন’ চালায় ইসরায়েলি বাহিনী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:১১ এএম

ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পর জলবায়ু আন্দোলনের নেত্রী গ্রেটা থুনবার্গের সঙ্গে ভয়ঙ্কর আচরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন গাজামুখী ত্রাণবাহী ‘সুমুদ ফ্লোটিলা’র সহযাত্রী আন্তর্জাতিক কর্মীরা। তারা জানান, আটকের পর গ্রেটাকে টেনে হিঁচড়ে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়, এমনকি তাকে ইসরায়েলি পতাকায় চুমু খেতে বাধ্য করা হয়।

শনিবার (৫ অক্টোবর) আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায়।

তুরস্কে ফিরে আসা ফ্লোটিলা কর্মীদের মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন দেশের নাগরিক। তাদের মধ্যে তুর্কি সাংবাদিক এরসিন সেলিক বলেন, তিনি নিজ চোখে দেখেছেন গ্রেটাকে কীভাবে অপমান করা হয়েছে। তাকে টেনে নেওয়া হয় এবং জোর করে পতাকায় চুমু খাওয়ানো হয়।

তুরস্কে অবতরণ করা মালয়েশিয়ার নাগরিক হাজওয়ানি হেলমি ও মার্কিন নাগরিক উইন্ডফিল্ড বিভারও এমনই অভিজ্ঞতার কথা জানান। তারা বলেন, গ্রেটাকে ইচ্ছের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি পতাকা দিয়ে প্যারেড করানো হয়। হেলমি বলেন, আমাদের খাবার দেওয়া হয়নি, ওষুধও ছিল না। পরিষ্কার পানিও মেলেনি।

বিভার আরও বলেন, গ্রেটার সঙ্গে ভয়ংকর ব্যবহার করা হয়েছে, যেন তাকে একটি প্রতীক বানানো হয়। তিনি দাবি করেন, একজন ডানপন্থী ইসরায়েলি মন্ত্রী ঘরে ঢুকলে গ্রেটাকে জোর করে ওই ঘরে ঠেলে নেওয়া হয়।

ফ্লোটিলায় থাকা ইতালীয় সাংবাদিক লরেঞ্জো আগোস্তিনো বলেন, গ্রেটা থুনবার্গ মাত্র ২২ বছরের এক সাহসী নারী। তাকে একটি ট্রফির মতো প্রদর্শন করা হয়েছে, গায়ে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ইসরায়েলি পতাকা।

এই ঘটনার নিন্দা করে তুর্কি উপস্থাপক ইকবাল গুরপিনার বলেন, তারা আমাদের পশুর মতো আচরণ করেছে। তিন দিন না খেয়ে থাকতে হয়েছে। পানি দেওয়া হয়নি। আমরা টয়লেটের পানি খেয়ে বেঁচে ছিলাম। রোদে পুড়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু এই অভিজ্ঞতা আমাকে গাজার মানুষের কষ্ট বুঝতে সাহায্য করেছে।

এর আগে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উদ্দেশে যাত্রা করা ৪০টি ত্রাণবাহী নৌকা ও ৪৫০ জনেরও বেশি আন্তর্জাতিক কর্মীকে আটক করে। এরপর আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে তেল আবিব।

তবে ইসরায়েল জানিয়েছে, আটকদের ধাপে ধাপে ইউরোপে ফেরত পাঠানো হবে। ইতোমধ্যেই ১৩৭ জনকে তুরস্কে পাঠানো হয়েছে, যাদের মধ্যে ৩৬ জন তুর্কি নাগরিক। 

এইউ