আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১১ আগস্ট ২০২৫, ১১:৪৯ এএম
গোটা গাজা উপত্যকা ইসরায়েল ধূলায় মিশিয়ে দেওয়ার পর টনক নড়েছে আরব লীগের! গাজাবাসীর এই পরিণতির পিছনে মূলত দায়ী এই আরবরা।
অবশেষে রোববার এক জরুরি বৈঠক করেছে অথর্ব এই মুসলিম সংগঠনটি। এতে গাজা দখলের পরিকল্পনা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করেছে আরব বিশ্বের আঞ্চলিক সংগঠন আরব লীগ।
একইসঙ্গে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গণহত্যা ও অনাহারের নীতি বন্ধে চাপ প্রয়োগ করতেও আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। খবর তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলুর।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, রোববার এক জরুরি বৈঠকে আরব লীগ গাজা উপত্যকা দখলের ইসরায়েলের পরিকল্পনাকে সব আরব রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সরাসরি আগ্রাসন এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি বলে নিন্দা জানিয়েছে।
মিসরের কায়রোতে স্থায়ী প্রতিনিধিদের পর্যায়ের এই বৈঠক শেষে প্রকাশিত চূড়ান্ত বিবৃতিতে অংশগ্রহণকারীরা গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গণহত্যা ও অনাহারের নীতি বন্ধে চাপ প্রয়োগ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে ইসরায়েলি দখলদার সরকারের গাজা উপত্যকার পূর্ণ সামরিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করা এবং গাজা ও অধিকৃত পশ্চিমতীর- যার মধ্যে জেরুজালেমও রয়েছে- এ “আগ্রাসন, গণহত্যা ও জাতিগত নির্মূল” চালানোর পরিকল্পনার নিন্দা জানানো হয়।
গত শুক্রবার ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন করে, যা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সরকার ও মানবাধিকার সংস্থার তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৬১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া এই উপত্যকা দুর্ভিক্ষের মুখে রয়েছে।
গত বছরের নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়ায়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
গাজায় ইসরায়েলের অভিযানের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (আইসিজে) গণহত্যার মামলা চলছে।
-এমএমএস