images

আন্তর্জাতিক

ইমরান খানের দলের শতাধিক নেতার কারাদণ্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৩১ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫১ পিএম

দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর শতাধিক নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড দিয়েছে ফয়সালাবাদের একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালত (এটিসি)। এরমধ্যে দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ এবং উচ্চকক্ষের বর্তমান সদস্যসহ ৫৮ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকিদের এক থেকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

কারাদণ্ড প্রাপ্তদের মধ্যে অন্যতম হলেন- ওমর আইয়ুব খান, শিবলি ফরাজ, হামিদ রাজা এবং জারতাজ গুল, যাদের ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে এটিসি। এছাড়াও পিটিআইয়ের প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য (এমপিএ) জুনায়েদ আফজাল সাহিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  

২০২৩ সালের ৯ মে পিটিআই সমর্থকরা দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের গ্রেফতারের প্রতিবাদে পাকিস্তানজুড়ে সহিংস বিক্ষোভ, সামরিক স্থাপনা এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ভবনে হামলা ও ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় দলটির নেতাকর্মীসহ হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) এ মামলায় অভিযুক্ত ১৮৫ জন পিটিআই কর্মীর মধ্যে ১০৮ জনকে আদালত সাজা দিয়েছে আদালত। বাকিদের মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।  খালাস পাওয়াদের মধ্যে আছেন- এমপিএ খায়াল আহমেদ কাস্ত্রো, জাতীয় পরিষদের সদস্য (এমএনএ) জায়েন কুরেশি এবং সাবেক পিটিআই নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী।

এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গোহর আলী খান বলেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবে দলটি। 

ইসলামাবাদে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে গিয়ে গোহর বলেন, ‘পিটিআই সদস্যদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা ভিত্তিহীন, আমরা রাজনীতিতে সহিংসতা বা উস্কানিতে বিশ্বাস করি না। আজ যাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তারা সহিংসতার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।’

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে এক বিবৃতিতে এই রায়ের তীব্র নিন্দা জানিয়ে পিটিআই। এতে মামলাগুলো মিথ্যা, বানোয়াট এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছে দলটি। 

পিটিআই আরও অভিযোগ করেছে, ‘আগামী ৫ আগস্ট পিটিআইয়ের গণ-সমাবেশ ঠেকাতে বিরোধী নেতাদের সাজা দেওয়া হয়েছে। আমাদের জাতীয় পরিষদের ছয় সদস্য, পাঞ্জাব বিধানসভার তিন সদস্য এবং একজন সিনেটরকে সাজা দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত কেবল সংবিধান ও আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘনই নয়, বরং ন্যায়বিচারের মুখে আরেকটি কালো অধ্যায়ও।’

সূত্র: ডন

এমএইচআর