আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৭ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪৪ এএম
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্তে চলমান তিন দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর অবশেষে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে দুই দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন।
শনিবার (২৬ জুলাই) এক বিবৃতিতে ট্রাম্প জানান, তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত এবং থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাইয়ের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছেন এবং যুদ্ধ অবসানের বিষয়ে জোর দিয়েছেন।
ট্রাম্প বলেন, উভয় নেতা তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছেন এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে, ফুমথাম ওয়েচায়াচাই সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান এবং উল্লেখ করেন, থাইল্যান্ড নীতিগতভাবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও, কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে আন্তরিকতার প্রমাণ দেখতে চায়।
তিনি আরও বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অনুরোধ করেছি, তিনি যেন কম্বোডিয়ার নেতাদের জানান যে, থাইল্যান্ড দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। আমাদের লক্ষ্য হলো একটি কার্যকর যুদ্ধবিরতি এবং স্থায়ী শান্তির পথ খুঁজে বের করা।
তবে এই সংঘাত থেমে গেলেও, ক্ষয়ক্ষতির চিত্র উদ্বেগজনক। এ পর্যন্ত ৩০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছেন এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অন্তত ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ। সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে নতুন নতুন এলাকায়।
দুই পক্ষই একে অপরকে সংঘর্ষের জন্য দায়ী করেছে এবং দাবি করেছে, তারা কেবল আত্মরক্ষামূলক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ঘটনাপ্রবাহে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং দুই দেশকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
যদিও ট্রাম্পের পক্ষ থেকে আলোচনার সময় ও স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি, তবুও তার হস্তক্ষেপে দুই দেশের মধ্যে যে শান্তিপ্রচেষ্টা শুরু হয়েছে, সেটি গুরুত্বপূর্ণ এক পদক্ষেপ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।
ওয়াশিংটনে থাই ও কম্বোডিয়ার দূতাবাস থেকেও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য আসেনি।
উল্লেখ্য, গত মে মাসের শেষ দিকে সীমান্তে এক কম্বোডীয় সেনার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। এরপর সীমান্তজুড়ে বাড়ানো হয় সেনা মোতায়েন, যা থাইল্যান্ডের ভঙ্গুর জোট সরকারকেও রাজনৈতিক সংকটে ফেলেছে। সূত্র: রয়টার্স
এইউ