আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৬ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫৩ পিএম
ইরানের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধের সময় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে গিয়ে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ঘাটতির মুখে পড়েছিল ইসরায়েল। সেসময় ইসরায়েলকে সহায়তা করার জন্য সৌদি আরবকে প্রস্তাব দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে সৌদি আরব সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় মধ্যপ্রাচ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা ধ্বংসে গত ১৩ জুন আকস্মিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে, ইসরায়েলে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করে ইরান। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ঠেকাতে ইসরায়েলের ব্যাপকভাবে তার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে। এতে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেপণাস্ত্র মজুদে ঘাটতি দেখা দেয়, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি টার্মিনাল হাই অল্টিটিউড এরিয়া ডিফেন্স (থাড) ইন্টারসেপ্টর শেষ হয়ে যায়।
অন্যদিকে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত চলাকালীন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ‘থাড’ ইন্টারসেপ্টর হাতে পায় সৌদি আরব, যা তারা ইয়েমেনের হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা মোকাবিলায় কিনেছিল। তবে ইসরায়েল সংকটময় পরিস্থিতিতে মার্কিন কর্মকর্তারা সৌদিকে অনুরোধ জানায়, ইসরায়েলকে যেন তারা থাড প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেয়।
বিষয়টির সঙ্গে জড়িত দুই মার্কিন কর্মকর্তা মিডল ইস্ট আইকে বলেছেন, ইসরায়েলকে সাহায্য করার জন্য সৌদি আরবকে ইন্টারসেপ্টর হস্তান্তর করতে বলেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু রিয়াদের প্রতিক্রিয়া ছিল ‘না’।
এদিকে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র কয়েক মাস আগে থেকেই ইসরায়েলের ইন্টারসেপ্টরের ঘাটতির কথা জানত এবং সেই অনুযায়ী ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে আসছে। কিন্তু সেই মজুদও সীমিত। ইসরায়েলে অনেক অস্ত্র পাঠানোর পর, এখন যুক্তরাষ্ট্র নিজেও ইন্টারসেপ্টর ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে টার্মিনাল হাই অল্টিটিউড এয়ার ডিফেন্স (থাড) যুক্তরাষ্ট্রের স্থল-ভিত্তিক প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ‘অ্যারো’ ব্যবহার করে ইসরায়েল। এছাড়া ইসরায়েল বহু বছর ধরে নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’-এর ওপর নির্ভরশীল। তবে এইসব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করেই ইসরায়েলি শহরগুলোতে আঘাত হানে ইরানি ক্ষেপণান্ত্র ও ড্রোন।
এমএইচআর