images

আন্তর্জাতিক

এক হাত নিয়েই কারাগারের ২৫ ফুট প্রাচীর টপকে পালাল আসামি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৫ জুলাই ২০২৫, ০৮:১২ পিএম

ভারতের দক্ষিণী রাজ্য কেরালার কেন্দ্রীয় কারাগারের ২৫ ফুট প্রাচীর টপকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামি পালিয়ে যায়, যার একটি হাত নেই। ২০১১ সালের ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির নাম গবিন্দাচামি (৪১)। তবে কয়েক ঘণ্টা জোরদার তল্লাশির পর তাকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) কেরালার কান্নুর সেন্ট্রাল জেলে এই ঘটনা ঘটে। 

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার দিনের শুরুতে সংশোধনাগারে রুটিন চেকআপের সময় দেখা যায় যে গবিন্দাচামি জেলের মধ্যে নেই। এরপরেই জেল কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে কারাগার প্রাঙ্গণে এবং তার আশেপাশে তল্লাশি অভিযান শুরু করে, কিন্তু ওই বন্দিকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারপরে চরম সতর্কতা জারি করে এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। 

গবিন্দাচামিকে ধরতে পুলিশ বিশেষ ইউনিট ‘কে-৯’ স্কোয়াডও মোতায়েন করেছিল। প্রায় ১০ ঘণ্টা জোরদার তল্লাশির পর থালাপ এলাকার একটি পরিত্যক্ত ভবনের কাছ থেকে গোবিন্দস্বামীকে আটক করা হয়। 

1
ধরা পড়ার পর গবিন্দাচামি। 

 

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার পরেও সে সেল থেকে বাইরে ঘোরাফেরা করছে। প্রাথমিক অনুমান ছিল, সেলে ঢোকেনি সে। পরে নিশ্চিত হয়, এই ঘটনা পরিকল্পিত এবং দীর্ঘদিন ধরেই পালানোর ছক কষছিল গবিন্দাচামি। 

জেল কতৃপক্ষ জানিয়েছে, জেলের ১০ নম্বর ব্লকের একটি সেলে বন্দি ছিল গবিন্দাচামি। গোপনে একটি করাতজাতীয় অস্ত্র জোগাড় করে সে তার সেলের লোহার গ্রিল কেটে দেয় এবং ভোররাতে দেওয়াল টপকে পালিয়ে যায়। 

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি, সৌম্যা নামে ২৩ বছরের এক তরুণী কোচি থেকে শোরনুরগামী একটি লোকাল ট্রেনে বাড়ি ফিরছিলেন। ট্রেনের মধ্যেই তার ওপর হামলা চালায় গবিন্দাচামি। 

অভিযোগ রয়েছে, চলন্ত ট্রেনে তাকে ধর্ষণ করার পর বাইরে ছুড়ে ফেলে দেয় অভিযুক্ত। ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান তরুণী। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বছর ৬ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হয় তার।

কেরালা হাইকোর্ট এই মামলায় গবিন্দাচামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছিল। কিন্তু ২০১৬ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সেই সাজা বাতিল করে। আদালত জানায়, খুন প্রমাণ করা না গেলেও ধর্ষণের অভিযোগে সে দোষী। তাই যাবজ্জীবন সাজা বহাল থাকবে।

সূত্র: এনিডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস


এমএইচআর