images

আন্তর্জাতিক

‘চুপ করে থাকব না’, দিল্লিতে বাঙালি হেনস্তায় মমতার হুঁশিয়ারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১০ জুলাই ২০২৫, ১০:১০ পিএম

ভারতের রাজধানী দিল্লির জয় হিন্দ কলোনিতে বসবাস করেন পশ্চিমবঙ্গের কয়েক হাজার বাংলাভাষী মানুষ। শ্রমিক শ্রেণির এসব মানুষদের বেশ কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ ও পানি বন্ধসহ একাধিকভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে এবার তাদের হয়ে সরব হলেন খোদ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এই সংক্রান্ত একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন তিনি। এসব ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

মতা তার এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘শোনা যাচ্ছে, বিজেপি পরিচালিত সরকারের নির্দেশে তাদের পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দিন কয়েক আগে হঠাৎ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে এবং ইলেকট্রিসিটি মিটার তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, তারা নিজেদের টাকায় যে প্রাইভেট পানির ট্যাঙ্কারের ব্যবস্থা করেছিলেন, তা দিল্লি পুলিশ এবং আরএএফ-এর সহায়তায় আটকে দেওয়া হয়েছে।’

বাঙালি শ্রমিকদের সেখান থেকে উচ্ছেদের জন্যই এমনটা করা হচ্ছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে বাঙালিদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার যেসব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, এবার সেই বাংলা-বিরোধী অপচেষ্টাকে দেশের অন্যান্য প্রান্তে শুরু করার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। গুজরাট, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা ও মধ্যপ্রদেশ থেকেও বাংলাভাষীদের ওপর নিপীড়ন করার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এখন সেই বিদ্বেষের ছায়া এসে পড়েছে দেশের রাজধানীতেও।’

‘চুপ করে থাকব না’

মতা জানিয়েছেন, ‘নিজ দেশেই যদি পশ্চিমবঙ্গের মানুষ অনাহূত অতিথির মতো আচরণের শিকার হন, তাহলে আমরা চুপ করে থাকব না। বাংলা সমস্ত নির্যাতিত কণ্ঠের পাশে দাঁড়াবে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা সর্বত্র আওয়াজ তুলব।’

সম্প্রতি ওড়িশায় পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু শ্রমিককে বাংলাদেশি বলে আটক করার প্রসঙ্গে মমতা তার এক্স পোস্টে লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে দেড় কোটিরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন, যারা সম্মানের সঙ্গে বসবাস করেন। কিন্তু বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলোতে সেই কথা জোরের সঙ্গে বলা যায় না, যেখানে বাংলাভাষীদের নিজের দেশেই অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেউ বাংলায় কথা বললে, তিনি বাংলাদেশি হয়ে যান না। ভাষা নির্বিশেষে তারা ভারতেরই নাগরিক, যেকোনো ভারতীয় নাগরিকের মতোই সমান অধিকারসম্পন্ন।’

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

-এমএইচআর