আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১০ জুলাই ২০২৫, ০৪:১৯ পিএম
এক সপ্তাহে লোহিত সাগরে দ্বিতীয় জাহাজ ডুবিয়ে দিলো ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি। এই ঘটনায় কমপক্ষে তিনজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
যুক্তরাজ্যের সামুদ্রিক নিরাপত্তা সংস্থা— ইউকে মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস (ইউকেএমটিও) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সোমবার (০৭ জুলাই) গ্রীক মালিকানাধীন লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ 'ইটারর্নিটি সি' ২৫ জন ক্রু সহ হামলার শিকার হয়। ছোট একটি নৌযান থেকে ছোড়া রকেট-চালিত গ্রেনেডের আঘাতে উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় জাহাজটি। মঙ্গলবারও আক্রমণ অব্যাহত ছিল। এর মধ্যেই রাতভর অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালানো হয়েছিল।
ইউকেএমটিও জানিয়েছে, উদ্ধারকারীরা বৃহস্পতিবার লোহিত সাগর থেকে আরও তিনজন ক্রু সদস্য এবং একজন নিরাপত্তারক্ষীকে জীবিত উদ্ধার করেছে। এর ফলে এখন পর্যন্ত উদ্ধারকৃতদের সংখ্যা ১০ জনে দাঁড়িয়েছে, যাদের মধ্যে আটজন ফিলিপাইনের নাগরিক- ক্রু সদস্য, একজন ভারতীয় এবং একজন গ্রীক নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন। বৃহস্পতিবার উদ্ধারকৃত ব্যক্তিরা ৪৮ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে পানিতে ছিলেন। আরও ১১ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠান।
ফিলিপাইনের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাহাজটির ক্রুদের মধ্যে ২১ জন তাদের নাগরিক ছিলেন। এছাড়া বাকিদের মধ্যে একজন রাশিয়ান নাগরিক যিনি আক্রমণে গুরুতর আহত হয়েছেন এবং একটি পা হারিয়েছেন।
অন্যদিকে ইয়েমেনে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, হুথিরা জীবিত অনেক ক্রু সদস্যকে অপহরণ করেছে। অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।
তবে বুধবার (০৯ জুলাই) হুথির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে বলেন, ইয়েমেনি নৌবাহিনী জাহাজের বেশ কয়েকজন ক্রুকে উদ্ধার, চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে এবং নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেছে।
এরআগে রোববার (০৬ জুলাই) ইয়েমেনের হুথি-নিয়ন্ত্রিত হোদেইদা শহর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী ‘ম্যাজিক সীজ’ নামে একটি জাহাজে হামলা চালায় হুথি যোদ্ধারা। জাহাজটিতে দুটি ড্রোনবোট (চালকবিহীন নৌকা), পাঁচটি ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং তিনটি ড্রোন হামলা চালানো হয়, যা সরাসরি জাহাজে আঘাত করে। বিস্ফোরণের ফলে জাহাজের নিচের অংশে মারাত্বক ক্ষতি হয় এবং এক পর্যায়ে ডুবে যায়। তবে জাহাজটি ডুবে যাওয়ার আগেই সেখান থেকে সমস্ত ক্রুকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি
-এমএইচআর