images

আন্তর্জাতিক

ওড়িশায় বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা সন্দেহে ৪৪৮ জন আটক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪৯ পিএম

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশায় অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা সন্দেহে অন্তত ৪৪৮ জনকে আটক করেছে রাজ্য পুলিশ। 

দ্য টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যের ঝাড়সুগুদা জেলায় সোমবার রাত থেকে শুরু হওয়া অভিযানে সন্দেহভাজন ৪৪৪ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া পৃথক অভিযানে বাংলাদেশি সন্দেহে প্যারাদ্বীপ থেকে আরও ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝাড়সুগুদায় আটক ৪৪৪ জনের মধ্যে অনেকে দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন। তারা শিল্পপ্রতিষ্ঠান, খনি, নির্মাণ ও রঙ মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করছিলেন।

ওড়িশার পুলিশের মহাপরিদর্শক হিমাংশু কুমার লাল বলেন, ‘রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে আটক সন্দেহভাজন ৪৪৪ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাকে বর্তমানে আটককেন্দ্রে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৬৫ জনকে অস্থায়ীভাবে নির্মিত সুরভী কল্যাণ মন্দিরে রাখা হয়েছে। বাকি ১৭৯ জনকে রাখা হয়েছে ডায়মন্ড কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি কলেজ প্রাঙ্গণে একটি হোল্ডিং সেন্টারে।’’

আটককৃতদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বাংলাভাষী মানুষ রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। যারা ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণ করবেন তাদের থাকতে দেওয়া হবে। অন্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

INDA1

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, আটককৃতদের মধ্যে অনেকেরই আধার কার্ড বা বৈধ পরিচয়পত্র নেই। 

ঝাড়সুগুদার পুলিশ সুপার স্মিত পারমার বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী রাজ্যে অবৈধ বসবাসরত বিদেশিদের শনাক্ত করার জন্য একটি বিশেষ টাস্কফোর্স (এসটিএফ) গঠন করা হয়েছে। জেলায় বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি অভিবাসী অবৈধভাবে বসবাস করছেন বলে খবর পাওয়ার পর এই অভিযান শুরু করা হয়েছিল।

অন্যদিকে প্যারাদ্বীপে আটক চারজন আধার কার্ড, পাসপোর্ট বা ব্যাংক রেকর্ডের মতো কোনও বৈধ নথি দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

প্যারাদ্বীপের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্মৃতি রঞ্জন কর বলেন, ‘আইন অনুযায়ী যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।’

সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া, এনডিটিভি


-এমএইচআর