আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৯ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪৬ পিএম
ভারতের গুজরাটে ভদোদরা জেলায় মহিসাগর নদীর ওপর ৪৩ বছরের পুরনো গম্ভীরা সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাড়িয়েছে, এর মধ্যে তিনজন একই পরিবারের সদস্য। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও নয়জন।
ভদোদরার পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট (এসপি) রোহন আনন্দ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে ১০ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, নিহতদের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাদরা রেফারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, আরও তিনজনের ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাদের খোঁজে, জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী (এনডিআরএফ) এবং রাজ্য দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনীর (এসডিআরএফ) কর্মীরা নদীতে তল্লাশি চালাচ্ছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভদোদরার এসপি বলেন, দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং উদ্ধার অভিযান শেষ হওয়ার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করবে।

কর্মকর্তাদের বরাতে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, সেতু ধসে নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন- রমেশ পাধিয়ার, বেদিকা পাধিয়ার, এবং নায়েতাইক পাধিয়ার দারিয়াপুরা গ্রামের একই পরিবারের সদস্য। এছাড়া মাজাতান গ্রামের হাসমুখ পারমার, কাহানভা গ্রামের ভাখাতসিংহ যাদব এবং উন্ডেল গ্রামের প্রবীণ যাদব ছিলেন।
এরআগে বুধবার (৯ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গুজরাত এবং সৌরাষ্ট্রের মাঝামাঝি পাডরা-মুজপুর এলাকায় মহিসাগর নদীর ওপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে গম্ভীরা সেতু। সেসময় সেতুর ওপরে থাকা অন্তত চারটি গাড়ি নদীতে পড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই সময় একটি ট্রাক, একটি ভ্যান এবং দু’টি গাড়ি সেতুর ওপর দিয়ে নদী পারাপার হচ্ছিল। সেতু ভেঙে পড়তেই গাড়িগুলিও উপর থেকে সোজা নদীতে গিয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় উদ্ধারকাজ।
প্রসঙ্গত, তিন বছর আগে ২০২২ সালে এই গুজরাটেরই মোরবীতে সেতু ভেঙে পড়ে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এর আগে সংস্কারের জন্য প্রায় দু’দশক ধরে বন্ধ ছিল ব্রিটিশ আমলে তৈরি ওই সেতু। পুনর্নিমাণের পর ২০২২ এর অক্টোবরে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় মোরবী। খোলার চার দিনের মাথায় ৩০ অক্টোবর সেতুটি ভেঙে পড়ে। ওই দিন মাচ্ছু নদীর উপরের ঝুলন্ত সেতুটি দেখতে প্রচুর মানুষ হাজির হয়েছিলেন। শুধু মাত্র ভেঙে পড়ার দিনেই নাকি টিকিট বিক্রি হয়েছিল ৩ হাজারেরও বেশি!
-এমএইচআর