images

আন্তর্জাতিক

আহমেদাবাদে হোস্টেলে বিমান বিধ্বস্ত, হাসপাতালে ৫০ মেডিকেল শিক্ষার্থী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১২ জুন ২০২৫, ০৭:৩৭ পিএম

ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে ২৪২ আরোহীসহ এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি যে মেডিকেল ছাত্রাবাসের ওপর বিধ্বস্ত হয়েছে, সেখানকার ৫০ থেকে ৬০ জন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের চিকিৎসকদের সংগঠন ফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন— ফাইমা।

অ্যাসোসিয়েশনটি জানায়, পাঁচজন শিক্ষার্থী এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া, অন্তত দুইজনকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউতে রাখা হয়েছে। কয়েকজনের চিকিৎসকের স্বজনও নিখোঁজ বলে জানা গেছে।

এদিকে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, গুজরাটের আহমেদাবাদে বিজে মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর পাঁচজন মেডিকেল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন স্নাতক এবং একজন স্নাতকোত্তর স্তরের আবাসিক শিক্ষার্থী রয়েছেন।

আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক জানিয়েছেন, ধারণা করা হচ্ছে এ দুর্ঘটনায় বিমানের কোনো যাত্রী বেঁচে নেই বলে । তিনি বলেন, ‘আবাসিক এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার ফলে বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দাও নিহত হয়েছেন। তবে হতাহতের সঠিক পরিসংখ্যান নিশ্চিত করতে আরও সময় লাগবে।’

air-india5

এরই মধ্যে শতাধিক মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস। তবে এখন পর্যন্ত কত জনের মৃত্যু হয়েছে, তা সরকারিভাবে প্রকাশ করেনি প্রশাসন।

এর আগে, দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটের দিকে আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিমানবন্দর থেকে বিমানটি যুক্তরাজ্যের লন্ডনের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে। এর কিছুক্ষণ পরই অহমেদাবাদের মেঘানি নগর এলাকায় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের একটি হোস্টেলে ভেঙে পড়ে ফ্লাইটটি। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিমানটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং আবাসিক এলাকার কাছে একটি কলেজের ছাত্রাবাসে বিধ্বস্ত হয়। এরপরই আগুন ধরে যায় পুরো উড়োজাহাজে। চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে ঘন কালো ধোঁয়া। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রশাসনের লোকজন দ্রুত উদ্ধার কাজে অংশ নেন। 

এয়ার ইন্ডিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিমানটিতে ২৩২ জন সাধারণ যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু ছিলেন। এর মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, একজন কানাডিয়ান ও সাতজন পর্তুগিজ নাগরিক।

এমএইচআর/এমএইচটি