আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৩ মে ২০২৫, ০৩:০৭ পিএম
গাজা যুদ্ধ ও ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের তিন দেশ সফর শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বার শপথ নেওয়ার পর এটি তার প্রথম মধ্যপ্রাচ্য সফর। তবে এ সফরে বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এড়িয়ে গেছেন তিনি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (১৩ মে) তিন দিনের মধ্যপ্রাচ্য সফরের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়েছেন ট্রাম্প। ইতোমধ্যে সৌদি আরব পৌঁছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, পরে কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন।
এদিকে, ট্রাম্পের এই মধ্যপ্রাচ্য সফরে ইসরায়েলকে অন্তর্ভুক্ত না করার সিদ্ধান্ত মার্কিন-ইসরায়েলি জোটের প্রতি তার অঙ্গীকার নিয়ে কিছু মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
রোববার ইসরায়েলকে বাদ দিয়েই হামাসের হাতে আটক মার্কিন-ইসরায়েলি বন্দি এডান আলেকজান্ডারের মুক্তির জন্য আলোচনা করে ট্রাম্প প্রশাসন। এরপর মুক্ত হয়ে তেলআবিব ফিরে গেলেও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন আলেকজান্ডার।
এদিকে, গত সপ্তাহে হুথিদের বিরুদ্ধে ইয়েমেনে হামলা বন্ধ করার সিদ্ধান্তের বিষয়েও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের আগাম কোনো নোটিশ দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলকে পাশ কাটিয়ে হুথিদের সঙ্গে হামলা বন্ধের চুক্তি করে ট্রাম্প প্রশাসন।
পরপর যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপ ইসরায়েলিদের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য সফরে ইসরায়েলকে এড়িয়ে যাওয়ায় অনেকের মনে করছেন, ‘ট্রাম্পের এই পদক্ষেপটি এই অঞ্চলের প্রতি বার্তাটি স্পষ্ট ছিল: ইসরায়েল আর মার্কিন অগ্রাধিকারের শীর্ষে নেই।’
তবে ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি এই ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরায়েলকে উপেক্ষা করছেন বিষয়টি এমন নয়। পৃথিবীতে প্রায় ২০০টি দেশ আছে এবং এমন অনেক দেশেই তিনি এখনও যাননি, অনেক দেশেই তিনি এখনই যাবেন না। তিনি অন্য যেকোনো বিশ্বনেতার তুলনায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বেশি সময় কাটিয়েছেন।’
এমএইচ/এমএইচটি