আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৭ মে ২০২৫, ০৭:৪৭ এএম
ভারতের সীমান্ত আগ্রাসনের জবাবে পাল্টা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভারতের মিসাইল হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে জবাব দেয়। প্রতিরক্ষা সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ব্রিগেড সদর দফতরে সুনির্দিষ্ট হামলা চালিয়ে তা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
সরকারি টিভি চ্যানেল পিটিভি-কে দেওয়া এক মন্তব্যে পাকিস্তানি এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, পাকিস্তান তাদের প্রতিরক্ষার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোনওরকম দোদুল্যমানতা দেখায়নি। ভারতের আগ্রাসনের জবাব দ্রুত, কঠোর এবং যথাযথভাবে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, কাশ্মীর সীমান্তের দুদনিয়াল সেক্টরে পাকিস্তান একটি ভারতীয় চৌকি টার্গেট করে মিসাইল ছুড়েছে। এতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবস্থান সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে।
এর আগে, ভারত মধ্যরাতে পাকিস্তানের অন্তত পাঁচটি অঞ্চলে মিসাইল হামলা চালায়। এসব হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও ১২ জন আহত হন। পাকিস্তানের ডিজিএফআইএসপিআর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, হামলার শিকার এলাকাগুলো হলো কোটলি, ভাওয়ালপুরের পূর্ব আহমেদপুর, বাঘ, মুজাফফরাবাদ এবং মুরিদকে।
আরও পড়ুন
পাকিস্তানে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত অন্তত ৮
ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ‘লজ্জাজনক’ বললেন ট্রাম্প, জাতিসংঘের উদ্বেগ
পাকিস্তানের পাল্টা আঘাতে ভারতের ৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত
তিনি জিও নিউজ-কে বলেন, ‘আহমেদপুরে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন। কোটলিতে আরও দুই বেসামরিক মানুষের প্রাণ গেছে।’
লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ আরও অভিযোগ করেন, ভারতের মিসাইল হামলায় দুটি মসজিদ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। একটিতে শিশু ও তার পরিবার আটকা পড়ে। তিনি বলেন, ‘এই হামলা প্রমাণ করে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক আদর্শ কতটা ভয়ঙ্কর। মসজিদের ওপর হামলা চালিয়ে তারা নিজেদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট করেছে।’
মুজাফফরাবাদে একটি রাস্তায় মিসাইল আঘাত হানে। তবে সেখানে হতাহতের কোনো খবর এখনো পাওয়া যায়নি।
এদিকে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী দাবি করেছে, তারা ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়েছে পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মীরের ৯টি স্থাপনায়। ভারতের বক্তব্য, এই হামলাগুলো কেবল সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অবকাঠামো লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে।
তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ইসলামাবাদ বলছে, ভারতের এই আক্রমণ মূলত বেসামরিক স্থাপনা ও ধর্মীয় স্থানগুলোকে লক্ষ্য করে করা হয়েছে, যা যুদ্ধবিধি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল। সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
এইউ