আন্তর্জাতিক ডেস্ক
৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩১ এএম
ইয়েমেনে হামলা চালাতে গিয়ে যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি এ পর্যন্ত সাতটি এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা এসব ড্রোন ভূপাতিত করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) এ তথ্য জানান মার্কিন এক কর্মকর্তা।
একই দিন দেশটির নৌবাহিনী জানায়, তাদের বিমানবাহী রণতরি হ্যারি এস ট্রুম্যান থেকে একটি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান পড়ে গেছে। যেটির দাম বাংলাদেশি অর্থে ৮১০ কোটি টাকার বেশি।
অপরদিকে ইয়েমেনে যেসব ড্রোন ভূপাতিত হয়েছে সেগুলোর একেকটির দাম ৩০ মিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশি অর্থে ৩৬৫ কোটি টাকা। সে হিসেবে সাতটি ড্রোন হারানোর মাধ্যমে তাদের ২ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে ইয়েমেনের হুতিদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিমান হামলা চালানো শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। এতে এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন ব্যবহার করা হয়। এগুলো দিয়ে মূলত ‘অনুসন্ধান’ চালানো হয়। সঙ্গে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এসব ড্রোন দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে হামলাও চালানো যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, গত ১৫ মার্চ থেকে সাতটি এমকিউ-৯ ড্রোন ভূপাতিত হয়েছে।
লোহিত সাগরে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরি হ্যারি এস ট্রুম্যান থেকে একটি যুদ্ধবিমান সমুদ্রে পড়ে গেছে। ৬৭ মিলিয়ন ডলারের বিমানটির সঙ্গে একটি টো ট্রাক্টরও পানিতে পড়েছে। বাংলাদেশি অর্থে এফ/এ-১৮ই মডেলের এ যুদ্ধবিমানটির দাম ৮১০ কোটি টাকারও বেশি। এ ঘটনায় একজন নাবিক আহত হয়েছেন।
সোমবার মার্কিন নৌবাহিনী এ তথ্য জানায়। বিবৃতিতে তারা বলেছে, এফ/এ-১৮ই বিমানটি হ্যাঙ্গার বে-তে ছিল। তখন এটি সরানোর দায়িত্বে থাকা কর্মী বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এতে বিমান ও টো ট্রাক্টর রণতরি থেকে পড়ে যায়।
বিমানটি পড়ার আগেই নিজেদের নিরাপত্তার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয় ক্রুরা। ফলে কেউ নিখোঁজ হননি। তবে দুর্ঘটনার সময় একজন নাবিক সামান্য আহত হন।
রণতরীটি যেখানে ছিল এটি এখনো সেখানেই আছে। এছাড়া অন্য বিমান অক্ষত আছে বলে জানিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনী। কীভাবে রণতরি থেকে বিমান পড়ে গেলো সেটি এখন তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।
হ্যারি এস ট্রম্যানে থাকা একই মডেলের আরেকটি যুদ্ধবিমান গত বছর ভুলক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারাই গুলি করে ভূপাতিত করেছিল। তবে ইউএসএস গেটিসবার্গ গাইডেড মিসাইল দিয়ে ভূপাতিত করা বিমানটির দুইজন পাইলট সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।
-এমএমএস