আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৪ জুন ২০২২, ০৩:৩২ পিএম
পূর্ব ইউক্রেনের শহর সেভেরোদোনেস্কের সঙ্গে নিরাপদ অঞ্চলের সংযোগ স্থাপনকারী শেষ সেতুটি ধ্বংস করে দিয়েছে রুশ বাহিনী। ফলে শহরটিতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে লড়াইরত ইউক্রেনীয় সৈন্যরা।
লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নর সের্হি গাইদাই জানান, সেভেরোদোনেস্ক থেকে লিসিচানস্কে শহর পর্যন্ত সংযোগকারী শেষ সেতুটি ধ্বংস করেছে রুশ বাহিনী। এছাড়া সেভেরোদোনেস্ক শহরের ৭০ ভাগই বর্তমানে রুশ বাহিনীর দখলে রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) এ তথ্য নিশ্চিত করে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানায়, শহরটিতে অবরুদ্ধ নাগরিকদের উদ্ধারের সব পথ বন্ধ হয়ে গেছে। শত শত বেসামরিক নাগরিক রুশ হামলার ভয়ে আজোট রাসায়নিক প্ল্যান্টের মাঠে আশ্রয় নিয়েছেন বলে নিজ টেলিগ্রাম পোস্টে জানিয়েছেন লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নর সের্হি গাইদাই।
গাইদাই বলেন, ‘‘সেভেরোদোনেস্কের পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। রাশিয়ানরা বহু উঁচু ভবন এবং আজোট রাসায়নিক প্ল্যান্ট ধ্বংস করছে।’’ খবর রয়টার্স।
এমতাবস্থায় রুশ বাহিনীর সঙ্গে লড়াই জারি রাখতে আরও পশ্চিমা অস্ত্র সহায়তা চেয়েছেন ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১৩ জুন) দেশটির রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক জানান, ইউক্রেনের জন্য ১ হাজার হাউইটজার, ৫০০টি ট্যাঙ্ক এবং ১ হাজার ড্রোন প্রয়োজন।
অপরদিকে সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে, ইউক্রেনে সরবরাহকৃত মার্কিন এবং ইউরোপীয় অস্ত্র ও সরঞ্জাম ধ্বংসের দাবি করেছে রুশ বাহিনী। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ডোনেস্কের উত্তর-পশ্চিমে উদাচন রেলস্টেশনের কাছে পশ্চিমাদের সরবরাহ করা সামরিক সরঞ্জামগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। স্বল্প পাল্লার নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এসব সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়।
উদাচনে রুশ হামলার বিষয়টি স্বীকার করেছে ইউক্রেনীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের টেলিগ্রাম পোস্টে জানা যায়, রবিবার থেকে সোমবার রাতভর রুশ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো রেলস্টেশনের কাছে আঘাত হানে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে।
টিএম