images

আন্তর্জাতিক

গাজায় বিয়ের আগের দিন ফিলিস্তিনের সাংবাদিক নিহত

ঢাকা মেইল ডেস্ক

২০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪১ পিএম

প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুকে সঙ্গী করে চলা ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ফতিমা জানতেন, আজ নয় তো কাল মৃত্যু অবধারিত। তবুও থেমে থাকেননি তিনি। 

নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকে ছুটে গেছেন গাজার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত। শৈশব থেকেই তিনি যুদ্ধ, মৃত্যু, রক্তপাত, স্বজনহারানো কান্না দেখে অভ্যস্ত। 

তিনি এমন মৃত্য চাইতেন, যা ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা জানাতে প্রভাব ফেলবে বিশ্বে!  ভয়ঙ্কর এক আবহের মধ্যে বেড়ে উঠতে উঠতে পরবর্তীকালে সেই দৃশ্য এবং ঘটনাগুলিকেই বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার কাজও নিয়ে ফেলেন বছর পঁচিশের তরুণী। 

তিনি ফতিমা হাসৌনা। গাজার চিত্র সাংবাদিক। সম্প্রতি ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন এ অসীম সাহসী ফিলিস্তিনি সাংবাদিক। পর দিনই তার বিয়ের কথা ছিল।

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার একের পর এক ছবি তুলে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়েছেন এই সাংবাদিক। প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুকে সঙ্গী করে চলা ফতিমা জানতেন, আজ নয় তো কাল মৃত্যু অবধারিত। কিন্তু থেমে থাকেননি তিনি। 

নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকে ছুটে গিয়েছেন গাজার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। কখনও ইসরায়েলি সেনার রক্তচক্ষুকে চ্যালেঞ্জ করে তুলে ধরেছেন কীভাবে গাজার বাসিন্দাদের ওপর অত্যাচার ও গণহত্যা চালানো হচ্ছে।

মৃত্যুর কয়েক দিন আগেই ফতিমা সমাজমাধ্যমে একটি লেখা পোস্ট করেছিলেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমার যদি মৃত্যু হয়, তা যেন শুধু ব্রেকিং নিউজের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। অথবা মৃতের তালিকায় নিছকই একটি সংখ্যা হয়ে না থাকে। আমি এমন মৃত্যু চাই যা গোটা বিশ্ব দেখবে। গোটা বিশ্বে যার প্রভাব পড়বে। যা শুধু সময় আর স্থানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না।

দুর্ভাগ্যজনক ভাবে বুধবার তাঁর সেই ‘ইচ্ছাপূরণ’ হয়েছে। ইসরায়েলি বিমান হামলায় উত্তর গাজায় নিজের বাড়িতেই মৃত্যু হয় সাংবাদিকের। 

ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবার ছিল তাঁর বিয়ের দিন। ইসরায়েলের বর্বর হামলায় ফতিমা এবং তার পরিবারের দশ জন সদস্যের মৃত্যু হয়। এই হামলায় তার অন্তঃসত্ত্বা বোনেরও মৃত্যু হয়েছে।

উল্লেখ্য, গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতা এবং তার জীবনীর উপর একটি তথ্যচিত্র ফ্রান্সের ফিল্মোৎসব এবং কানের একটি ফিল্মোৎসবে দেখানো হবে বলে ফতিমার মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা আগে ঘোষণা করা হয়।

-এমএমএস