আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৯ মার্চ ২০২৫, ১১:১১ এএম
ইতিহাসের ভয়াবহ ভূমিকম্পের শিকার মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯৪ জনে দাঁড়িয়েছে, আহত হয়েছেন ১৬৭০ জন।
দেশটির ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা সরকারের বিবৃতির বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
একই সঙ্গে সামরিক জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে দ্রুত উদ্ধার অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশটিতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর শনিবার থেকে আন্তর্জাতিক সাহায্য পৌঁছাতে শুরু করেছে। খবর রয়টার্সের।
শুক্রবার মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে জরুরি বিভাগের বাইরে আহতদের সারি দেখা যায়।
আহদের অনেকেই দূর দূরান্ত থেকে গাড়ি এবং পিকআপে করে এসেছেন। পরবর্তীতে তাদের স্ট্রেচারে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। যাদের গায়ে ধুলো ও রক্ত মাখা ছিল।
তবে সমস্যা হলো ভূমিকম্পে হাসপাতালও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগটিও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, হাসপাতালে প্রবেশপথে একটি গাড়ি চাপা পড়েছে।
এএফপিকে হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, অনেক আহত মানুষ আসছেন। আমি এর আগে এমন কিছু দেখিনি। আমরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমি খুব ক্লান্ত।
এদিকে আহতদের দেখতে মিয়ানমারের সামরিক প্রধান মিন অং হ্লাইং হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।
নেপিদো থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে সাগাইংয়ের উত্তর-পশ্চিমে শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭.৭ এবং এটি ১০ কিলোমিটার গভীরতায় সংঘটিত হয়েছে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল মিয়ানমারের মান্দালয়ের ১৭ কিলোমিটার দূরে।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হওয়ার যত কারণ
মান্দালয় শহরের জনসংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। এটি মিয়ানমারের প্রাচীন রাজকীয় রাজধানী এবং বৌদ্ধ সংস্কৃতির কেন্দ্র।
স্থানীয় বাসিন্দারা ও সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ফলে এদিন দেশটির বহু ভবন, সেতু ও রাস্তাঘাট ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
-এমএমএস