আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২০ মার্চ ২০২৫, ০১:০৮ পিএম
দরজায় কড়া নাড়ছে ফারসি নববর্ষ ‘নওরোজ ২০২৫’। নওরোজের দীর্ঘ ছুটিতে এবার ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য সমুদ্র ভ্রমণ সহজতর করতে প্রস্তুত দেশটির বন্দরগুলো।
মেহর নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, নওরোজ এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী এবং পর্যটকদের সমুদ্র ভ্রমণের নিরাপত্তা এবং দক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য ব্যাপক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইরানের সামুদ্রিক ভ্রমণ তত্ত্বাবধানকারী প্রাথমিক কর্তৃপক্ষ বন্দর ও সামুদ্রিক সংস্থা (পিএমও) ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আসন্ন ছুটির মৌসুমে একটি নিরাপদ এবং মনোরম সামুদ্রিক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে নিরাপত্তা মান, বর্ধিত পরিবহন ক্ষমতা এবং উন্নত পরিষেবার মান তুলে ধরে একটি বিশদ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
সামুদ্রিক যাত্রী বহরের সম্প্রসারণ
নওরোজ ২০২৫ সামুদ্রিক ভ্রমণ সুবিধা পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবার সড়ক ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী বন্দর আব্বাসে শহিদ হাঘানি বন্দর বহরে মোট ৫৪০ আসন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন দুটি নতুন যাত্রীবাহী জাহাজ যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। মোট ১০০টি জাহাজ সম্পূর্ণ স্ট্যান্ডবাইতে ১৫০টি পরিষেবা নৌকাসহ মোতায়েন করা হবে। এর মধ্যে ৪৭টি হচ্ছে যাত্রী ফেরি এবং ৫০টি অবতরণ জাহাজ। এছাড়াও যাত্রীদের বাড়তি চাপ সামলাতে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বন্দরগুলিতে সামুদ্রিক পরিবহন ক্ষমতা জোরদার করা হয়েছে।
নিরাপত্তা এবং সামুদ্রিক ভ্রমণ পরিষেবার মান বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ
পরিবহন উপমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান যাত্রীদের নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অবহেলা সহ্য করা হবে না। নিরাপত্তা মান বজায় রাখার জন্য যাত্রীবাহী জাহাজগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রযুক্তিগত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে, সামুদ্রিক অনুসন্ধান ও উদ্ধার মহড়া পরিচালিত হয়েছে। এছাড়াও, ছুটির দিনে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বন্দরগুলিতে জরুরি প্রতিক্রিয়া দল এবং পরিষেবা কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। সকল জাহাজকে নিরাপত্তা বিধি মেনে চলতে হবে এবং কার্যক্রম শুরু করার আগে প্রযুক্তিগত অনুমোদন নিতে হবে।
কর্মশক্তি এবং পেশাগত স্বাস্থ্য মানদণ্ডের ওপর মনোযোগ দেওয়ার নির্দেশ
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক ব্যবস্থাপনা সভায় সাঈদ রাসৌলি কর্মীদের কল্যাণের অগ্রাধিকারের ওপর জোর দিয়েছেন। এসময় তিনি কর্মীদের কাজের পরিবেশ উন্নত করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। নওরোজের সময় দেশের বন্দরগুলিতে স্বাস্থ্য, সুরক্ষা এবং পরিবেশ (এইচএসই) মান মেনে চলা একটি মূল লক্ষ্য। কর্মক্ষম এবং পরিষেবা কর্মীদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ অধিবেশন পরিচালনা করা হয়েছে।
এছাড়াও এবার সমুদ্র ভ্রমণ সহজতর করতে টিকিট পরিষেবার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, নওরোজ সামুদ্রিক পর্যটনের জন্য চাবাহার বন্দরকে প্রস্তুত করা হয়েছে, আস্তারা বন্দরে সামুদ্রিক পর্যটন নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, গিলানে সামুদ্রিক পর্যটনে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে, নওরোজ উদযাপনের জন্য আমিরাবাদ বন্দরকে প্রস্তুত করা হয়েছে, নওরোজ ২০২৫ এর জন্য পশ্চিম হরমোজগান বন্দরগুলি সম্পূর্ণ সতর্কতায় রয়েছে এবং বুশেহর বন্দরগুলিতে সামুদ্রিক পর্যটন পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।
ইএ