আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম
ভারতে ভোটদানের হার বৃদ্ধি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, এবার তা বন্ধ হতে চলেছে। বিশ্বব্যাপী খরচে রাশ টানল আমেরিকা।
এর পাশাপাশি পড়শি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নয়নে যে অর্থ ব্যয় করা হত, তাও বন্ধ হচ্ছে।
দ্বিতীয় বার হোয়াইট হাউসে ঢুকেই সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতরের মাথায় নিজের ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি ইলন মাস্ককে বসিয়েছিলেন ট্রাম্প।
মাস্কের দফতর রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছে, বিভিন্ন দেশে নির্বাচনী ব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক কাঠামোর উন্নতিতে তারা যে অর্থ বরাদ্দ করত, তা কাটছাঁট করা হচ্ছে।
এই প্রকল্পে ৪৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৪২১২ কোটি রুপিরও বেশি) ব্যয় করত আমেরিকা। জো বাইডেনের আমলে এই প্রকল্পেই ভারতের জন্য ২ কোটি ১০ লাখ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ১৮২ কোটি রুপিরও বেশি) বরাদ্দ করা হয়।
মাস্কের দফতর রোববার সমাজমাধ্যমে কোন কোন দেশের জন্য আর্থিক বরাদ্দ বন্ধ হচ্ছে, তার তালিকা তুলে ধরেছে। বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ ২ কোটি ৯০ লাখ ডলারের অর্থসাহায্য বন্ধ করা হচ্ছে।
নেপাল, মালি, সার্বিয়া ও কম্বোডিয়ার মতো দেশেও অর্থসাহায্য বন্ধ করা হচ্ছে। মাস্কের দফতর জানিয়েছে, বিদেশিদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য আমেরিকার করদাতাদের দেওয়া অর্থ খরচ করা হবে না।
এই প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফে কেউ মুখ না-খুললেও শাসকদল বিজেপির মুখপাত্র অমিত মালবীয় মার্কিন অনুদানের বিষয়টিকে ভারতের ‘নির্বাচনী ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ’ বলে দাবি করেছেন।
এ ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের কোনও হাত নেই বলে দাবি করে তিনি কংগ্রেসকেই এর জন্য দায়ী করেছেন।
-এমএমএস