images

আন্তর্জাতিক

প্রবাসী আয়ে শীর্ষে ভারত, বাংলাদেশ সপ্তম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৮ এএম

প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ বা রেমিট্যান্স আয়ের দিক থেকে ২০২৪ সালে বিশ্বে শীর্ষে স্থানে ছিল ভারত। আর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল সপ্তম স্থানে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু গত সপ্তাহে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ।

দৈনিকটি জানিয়েছে, ভারত ২০২৪ সালে আনুমানিক ১২৯ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে- যা যেকোনো দেশের এক বছরে পাওয়া সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। এছাড়া, গত বছর বৈশ্বিক রেমিট্যান্সের মধ্যে ভারত একাই নিয়ে গেছে ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ। এই অঙ্ক চলতি শতকেও এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

গত বছর রেমিট্যান্স অর্জনে দ্বিতীয় স্থানে ছিল মেক্সিকো। দেশটির প্রবাসীরা দেশটিতে ৬৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ পাঠিয়েছেন। তৃতীয় স্থানে থাকা চীনাপ্রবাসীরা নিজ দেশে পাঠিয়েছেন ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি। চতুর্থ স্থানে থাকা দেশটি হলো ফিলিপাইন, দেশটির প্রবাসীরা দেশটিতে ৪০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ পাঠিয়েছেন। গত বছর রেমিট্যান্স আয়ের দিক থেকে অষ্টম অবস্থানে বাংলাদেশ, সাড়ে ২৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন দেশটির প্রবাসীরা।

রেমিট্যান্স আয়ের দিক থেকে অষ্টম অবস্থানে থাকা দেশটির নাম মিশর, দেশটির প্রবাসীরা গত বছর নিজ দেশে ২২ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ পাঠিয়েছেন এবং নবম ও দশম অবস্থানে থাকা দুই দেশ যথাক্রমে গুয়াতেমালা ও জার্মানি। উভয় দেশের প্রবাসীরা নিজ নিজ দেশে সাড়ে ২১ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।

নতুন শতক অর্থাৎ ২১ শতকের শুরুর দিকে চীনের প্রবাসী আয় বৈশ্বিক রেমিট্যান্সের মাত্র ১ শতাংশের নিচে থাকলেও, ২০০০-এর দশকের শেষ ও ২০১০-এর দশকের শুরুতে তা ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায় এবং ভারতের সমান হয়ে যায়। তবে, ২০১০-এর দশকের শেষ দিকে এটি ধীরে ধীরে আবারও ১০ শতাংশের নিচে নেমে যায়।

বৈশ্বিক রেমিট্যান্স অর্জনে চীনের অবস্থান ২০২০ সাল থেকে দ্রুত কমতে থাকে এবং ২০২৪ সালে দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছায়।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য বলছে, চীনের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও বার্ধক্যজনিত জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে কম দক্ষ শ্রমিকদের অভিবাসনের হার কমে যাওয়ায় এই প্রবণতা দেখা গেছে।

সাধারণত রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বলতে বোঝায় বিদেশে কর্মরত ব্যক্তিদের তাদের পরিবারের জন্য নিজ দেশে পাঠানো অর্থ। এটি উন্নয়নশীল দেশগুলোর পরিবারগুলোর আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস এবং প্রাপক দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে।

এমএমএস