আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৩ পিএম
কাজাখস্তানে ৬৭ জন আরোহীসহ বিধ্বস্ত আজারবাইজানের বিমানটি মাটিতে আছড়ে পড়ার আগে আকাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিভ্রান্তের মতো উঠা-নামা করছিল।
বিমানটি কখনও উপরের দিকে উঠছিল, পরমুহূর্তেই আবার ঝপ করে নেমে যাচ্ছিল বেশ খানিকটা। এভাবে উঠানামার মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গোত্তা খেয়ে আছড়ে পড়ল বিমানটি।
সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় সেটিতে। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার মুহূর্তের বেশ কয়েকটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েছে। মাটিতে আছড়ে পড়ার আগে বেশ কয়েক মিনিট আকাশে ‘বিভ্রান্ত’ হয়ে বিমানটিকে ঘুরপাক খেতে দেখা গিয়েছে ওই ভিডিওতে।
জরুরিভিত্তিতে অবতরণ করতে না-পেরে বিমানবন্দর থেকে কিছুটা দূরে আকাশে ক্রমাগত চক্কর কাটছিল বিমানটি। অন্তত তিন মিনিট ‘বিভ্রান্ত’ হয়ে ঘোরার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গোত্তা খেয়ে একটি খোলা জায়গায় আছড়ে পড়ে যাত্রিবাহী ওই বিমানটি। মুহূর্তে তাতে আগুন ধরে যায়।
আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের ইআরজে-১৯০ বিমানটির গন্তব্য ছিল রাশিয়া। স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ৫৫ মিনিটে রাজধানী বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়া প্রদেশের গ্রজনির উদ্দেশে সেটি রওনা দেয়।
কাজাখস্তানের আকতুতে কাসপিয়ান সাগরের পূর্ব উপকূলে আচমকা বিমানটি ভেঙে পড়ে। ঘন কুয়াশার কারণে সেটির পথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কাজাখস্তানের বিমানবন্দরে তার জরুরি অবতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু অবতরণের আগে বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারায়।
রাশিয়ার একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, একঝাঁক পাখির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। তবে এখনও কারণ নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, বিমানটি টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে। বিমানের বেশির ভাগ যাত্রীরই মৃত্যু হয়েছে বলে রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর।
বিমানে কর্মীসহ ৬৭ জন আরোহী ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, উড়ার কিছু পড়েই পাখির ঝাঁকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে বিমানটির। তার পরই পাইলট আপৎকালীন অবতরণের জন্য অনুমতি চান। কিন্তু অবতরণের আগেই সেটি ভেঙে পড়ে।
-এমএমএস