images

আন্তর্জাতিক

সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে কুচক্রী মহল মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত তথ্য ছড়াচ্ছে

ঢাকা মেইল ডেস্ক

৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৮ এএম

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে কিছু কুচক্রী মহল ভুয়া, মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত প্রতিবেদন প্রকাশ করছে বলে জাতিসংঘ ফোরামে জানিয়েছে বাংলাদেশ।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় দুই দিনব্যাপী জাতিসংঘের সংখ্যালঘুবিষয়ক ফোরামের ১৭তম অধিবেশনে বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার এই অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম এসব কথা তুলে ধরেন।

শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ফোরামে বক্তব্যে কয়েকজন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেফতার নিয়েও অভিযোগ করা হয়।

আরও পড়ুন

দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ভারতের গণমাধ্যমে বানোয়াট গল্প প্রচার

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তারেক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, দুর্ভাগ্যবশত বাংলাদেশের মানুষ যখন ধর্মীয় সম্প্রীতির গৌরবজনক উদাহরণ তৈরি করেছে, তখন আমরা দেখতে পেলাম সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে কিছু কুচক্রী মহল ভুয়া, মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। দুঃখজনকভাবে এই ফোরামেও আমরা সেটি হতে দেখেছি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এ ধরনের অনেক অপপ্রচার উন্মোচিত হয়েছে। বাস্তবে কী ঘটছে, তা পর্যবেক্ষণে বিদেশি সাংবাদিকদের বাংলাদেশ সফরে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত সরকার।

আরিফুল ইসলাম বলেন, ধর্মীয় পরিচয়–নির্বিশেষে বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষের স্বাধীনভাবে ধর্মচর্চা ও মতপ্রকাশের অধিকার রয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যসহ দেশের প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য।

তিনি বলেন, এই ফোরামের কিছু বক্তা চিন্ময় দাসের গ্রেফতারের বিষয়টি ভুলভাবে তুলে ধরেছেন। সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে ভারত: জয়শঙ্কর

চট্টগ্রামে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আদালতে নেওয়ার সময় তার অনুসারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে হত্যার বিষয়টিও উল্লেখ করেন আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, একজন মুসলিম আইনজীবীকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এরপর সরকার দ্রুত বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। সব ধর্মের নেতাদের সহায়তায় পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। এর মধ্য দিয়ে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানো গেছে।

বক্তব্যে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, গত ৫ আগস্টের পর দেশে সংঘটিত সহিংসতার পেছনে ধর্মীয় নয় বরং রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত বিষয় কাজ করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশই দলীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের প্রায় সবাই মুসলিম। অল্প কিছু মানুষ আছেন ধর্মীয় সংখ্যালঘু। দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর পদ্ধতিগত কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। বরং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর বিশ্ব দেখেছে, দীর্ঘদিনের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনুসরণ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনকে রক্ষায় পুরো বাংলাদেশ কীভাবে এগিয়ে এসেছে।

ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার ব্যাপারে সরকার সবসময় সতর্ক অবস্থানে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের অধিকার হরণের কোনো অপচেষ্টা হলে তা প্রতিহত করা হবে।

এমআর