images

আন্তর্জাতিক

কমলা হ্যারিসকে নিজেদের বলে দাবি করেন ভারতের যে গ্রামের বাসিন্দারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৪ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৯ পিএম

দক্ষিণ ভারতের চেন্নাই শহর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরের ছোট্ট একটি গ্রাম থুলাসেনধ্রাপুরাম। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি থেকে গ্রামটির দূরত্ব প্রায় ১৪ হাজার কিলোমিটার। কিন্তু তারপরও আগামী নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাট পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এই গ্রামটির নাম। কারণ এই গ্রামটিই ছিল কমলা হ্যারিসের নানাবাড়ি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

৫৯ বছর বয়স্ক কমলা হ্যারিসের ছবিযুক্ত একটি ব্যানার এখন শোভা পাচ্ছে গ্রামটির কেন্দ্রে। তার জন্য বিশেষ প্রার্থনা করেছে গ্রামের মানুষ। গ্রামটির মন্দিরে দান করাদের তালিকায় আছে কমলা হ্যারিসের নানার নামও। সেখানে বিতরণ করা হয়েছে মিষ্টি।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো এবং সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিসের নাম আসার সঙ্গে সঙ্গে এই গ্রামের বাসিন্দাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।

অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা কৃষ্ণমূর্তি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটির এমন একটি অবস্থানে পৌঁছা মোটেই চাট্টিখানি কথা নয়। তিনি আরও বলেন, তার জন্য আমরা গর্বিত। একসময় ভারতীয়দের শাসন করেছে বিদেশিরা। এখন ভারতীয়রা ক্ষমতাধর দেশগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে এক ধরনের গর্বও কাজ করছে। বিশেষ করে নারীদের মধ্যে। তারা কমলা হ্যারিসকে নিজেদের একজন ভাবছেন।

স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য অরুলমোঝি সুধাকর বলেন, সবাই তাকে চেনে। এমনকি শিশুরাও। আমার বোন, আমার মা— এই বলে পরিচয় দিচ্ছেন তার। আমরা খুশি যে তিনি তার শিকড়কে ভোলেননি।

শ্যামলা গোপালান নামের এক স্তন ক্যানসার বিশেষজ্ঞের মেয়ে কমলা হ্যারিস। ১৯৫৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর আগে ভারতের দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ুতে বেড়ে ওঠেন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ শ্যামলা। তার মা-বাবার বাড়ি ছিল থুলাসেনধ্রাপুরাম গ্রামে।

গত বছর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে কমলা হ্যারিস জানান, আমার মা ১৯ বছর বয়সে একা ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। তিনি ছিলেন একাধারে একজন বিজ্ঞানী, গণ-অধিকার কর্মী এবং এমন একজন মা, যিনি দুই মেয়ের মধ্যে তার জন্য গর্বের জন্ম দিতে পেরেছেন।

মা মারা যাওয়ার পর বোন মায়াসহ চেন্নাই ভ্রমণ করেন কমলা হ্যারিস। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর দেওয়া তথ্য অনুসারে হিন্দু ধর্মীয় রীতিতে এ সময় মায়ের ছাইভস্ম সাগরে ফেলেন তারা।