images

আন্তর্জাতিক

তালাকের পরও স্বামীর কাছে ভরণপোষণ চাইতে পারবেন ভারতের মুসলিম নারীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১০ জুলাই ২০২৪, ১০:২৪ পিএম

স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়া মুসলিম নারীদের নিয়ে বড় রায় দিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। তালাক হওয়ার পরে ক্রিমিনাল প্রসিডিওর কোডের (সিআরপিসি) বা ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী স্বামীর কাছে খোরপোশের দাবি করতে পারেন মুসলিম নারীরা। সব ধর্মের বিবাহিত নারীদের ক্ষেত্রেই এই আইন প্রযোজ্য হবে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।

বুধবার (১০ জুন) বিচারপতি বিভি নাগারত্ন ও অগাস্টিন জর্জ মাসিহের বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ে উল্লেখ করা হয়, ভারতে যে সেক্যুলার আইন আছে, তার ওপর প্রাধান্য পাবে না ১৯৮৬ সালের মুসলিম নারী আইন। এই আইনে মুসলিম নারীদের তালাকের অধিকার দেওয়া হয়েছিল।

একটি আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে এ রায় দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি নাগারত্ন তার রায়ে বলেন, ধারা-১২৫ (ভারতের) সব নারীর জন্য প্রযোজ্য এবং এ কারণে এই বড় উপসংহারে পৌঁছেছি, যে আপিল করা হয়েছে তা খারিজ হয়ে যাবে।

রায়ে আরও বলা হয়, ভরণপোষণ বা খোরপোশ প্রত্যেক বিবাহিত নারীর অধিকার, এটি কোনো দাতব্য তথা চ্যারিটিমূলক কাজ নয়।

ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের আবদুস সামাদ নামে এক ব্যক্তি তালাকের পর স্ত্রীকে খোরপোশ দিতে চাননি। পারিবারিক আদালত তাকে মাসিক খোরপোশ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু আদালতের সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে তিনি দ্বারস্থ হন তেলেঙ্গানা হাইকোর্টের। উচ্চ আদালতও একই রায় দিলে তিনি আপিল করেন সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু শীর্ষ আদালতেও সেই পিটিশন খারিজ করে দেওয়া হয়।

রায়ে বলা হয়, মুসলিম নারী (বিবাহবিচ্ছেদের অধিকার রক্ষা) আইন, ১৯৮৬ ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ তথা সেক্যুলার আইনের চেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে না।

এ বিষয়ে বিচারপতি নাগারত্ন বলেন, আমরা ফৌজদারি আবেদন খারিজ করে দিচ্ছি। সেই সঙ্গে এই সিদ্ধান্তে আসছি যে, ফৌজদারি আইনের ১২৫ ধারা সব নারীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, কেবল বিবাহিত নারীদের ক্ষেত্রে নয়।

বিচারপতি নাগারত্ন আরও বলেন, অনেক স্বামীই বুঝতেই পারেন না যে তাদের স্ত্রী, যারা গৃহবধূ, তাদের ওপর মানসিক দিক থেকে কতটা নির্ভরশীল। সময় এসেছে ভারতীয় পুরুষদের গৃহবধূদের ভূমিকা ও আত্মত্যাগকে স্বীকৃতি দেওয়ার।