images

আন্তর্জাতিক

গাজায় নিহতের সংখ্যা ১ লাখ ৮৬ হাজার ছাড়াতে পারে: ল্যানসেট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১০ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৭ পিএম

ফিলিস্তিনের গাজায় টানা ৯ মাস ধরে চলা ইসরায়েলের ভয়ঙ্কর হামলায় নিহত মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ৮৬ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে চিকিৎসাবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেট।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের নজিরবিহীন সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৩৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, প্রকৃত মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। কারণ সরকারি পরিসংখ্যানে ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপাপড়া হাজার হাজার লাশ এবং স্বাস্থ্য সুবিধা, খাদ্যের অভাব এবং অন্যান্য সরকারি অবকাঠামো ধ্বংসের কারণে পরোক্ষ মৃত্যুর বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।

গবেষণাটি জার্নালের চিঠিপত্র বিভাগে প্রকাশিত হয়েছিল। অর্থাৎ এটি পিয়ার রিভিউ করা হয়নি।

গবেষণায় বলা হয়, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে নিহত ব্যক্তির যে সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে, সম্ভবত সেটি নাটকীয়ভাবে কম। ইসরায়েলি হামলায় এ উপত্যকার বিভিন্ন স্থাপনার ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা হাজারো মানুষ এবং খাবার, চিকিৎসাসেবা ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার সংকটে পরোক্ষভাবে যে বহু মানুষ মারা গেছে, তাদের ওই হিসাবে বিবেচনায় আনা হয়নি।

এতে বলা হয়, সহিংসতা থেকে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ছাড়াও সংঘাতের পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে। এমনকি যদি গাজা যুদ্ধ এই মুহূর্তে শেষ হয়, তাহলেও আগামী অনেকগুলো মাস ও বছর রোগ-ব্যাধির মতো নানা কারণে অনেকের পরোক্ষ মৃত্যু হবে। সাম্প্রতিক সংঘাতে এ ধরনের পরোক্ষ মৃত্যুর সংখ্যা প্রত্যক্ষ মৃত্যুর চেয়ে তিন থেকে ১৫ গুণ বেশি।

Gaza_Killing--02

বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো ১০ হাজারের মতো মরদেহ চাপা পড়ে আছে। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গাজা উপত্যকার ৩৫ শতাংশ ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। এর আগে গত মে মাসে গাজার নাগরিক সুরক্ষা সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছিল, উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি ও অন্যান্য স্থাপনার নিচে প্রায় ১০ হাজার মরদেহ চাপা পড়ে আছে। এসব মরদেহে পচন ধরায় রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ছে।

গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত জানুয়ারিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আনা একটি গণহত্যা মামলার অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে বলেছেন যে, গণহত্যা কনভেনশনের অধীনে ‘ধ্বংসলীলা রোধ এবং যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের সাথে সম্পর্কিত প্রমাণ সংরক্ষণ নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার’।

আলজাজিরা