images

আন্তর্জাতিক

বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ

ঢাকা মেইল ডেস্ক

০১ মে ২০২৪, ০৬:০৭ পিএম

অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ বেড়েই চলেছে। গণগ্রেপ্তার ও বলপ্রয়োগের পরও এ বিক্ষোভ না কমে বরং যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা পেরিয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের অন্তত আরও ৯টি দেশে। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।

যুক্তরাজ্যের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়, ইউসিএল ও ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন।

তাঁবু গেড়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কুইবেক ক্যাম্পাসে। দেশটির মন্ট্রিলের কনকর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন।

মিসরের আমেরিকান ইউনিভার্সিটি জন কায়রো ক্যাম্পাসেও বিক্ষোভ হয়েছে। এছাড়া ফ্রান্সের সরবোন বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউট অব পলিটিক্যাল স্টাডিজ ক্যাম্পাস এবং ইতালির স্যাপিয়েঞ্জা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও ছড়িয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও বিক্ষোভ করছেন ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা।

এছাড়া লেবানন, তিউনিসিয়া, কুয়েতেও বিক্ষোভ করেছেন ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা।

প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। ধীরে ধীরে এই বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাসে অস্থায়ী শিবির বসিয়েছেন। কয়েক দিন ধরে চলা এ বিক্ষোভ দমনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য। তারা বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শত শত শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছেন। কিছু কিছু ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর শক্তিপ্রয়োগ করেছেন পুলিশ সদস্যরা। কোথাও কোথাও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে অভিযানে গাজায় যুদ্ধবিরোধী ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়া হয়। এ সময় বহু বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুলিশকে ১৭ মে পর্যন্ত ক্যাম্পাসে তাদের অবস্থান নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে বলে জানা গেছে। পুলিশ প্রবেশ করার কিছুক্ষণ পর কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মিনুচে শফিক একটি চিঠি প্রকাশ করে পুলিশকে অন্তত ১৭ মে পর্যন্ত ক্যাম্পাসে অবস্থান করার অনুরোধ জানান।