images

আন্তর্জাতিক

রমজানের আগে কি গাজায় যুদ্ধবিরতি হবে?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪১ পিএম

ইসরায়েল গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরের বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ রাখার কোন পরিকল্পনা ছাড়াই সেখানে অভিযান শুরুর পাঁয়তারা করছে। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আবারো টেলিফোন করে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সতর্ক করেছেন। এদিকে রমজানের আগে গাজায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট। 

হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাফাহ শহরের বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং সহায়তা নিশ্চিত করার জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য এবং কার্যকরী পরিকল্পনা ছাড়া সেখানে কোন সামরিক অভিযান চালানো উচিত নয় বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।’ খবর এএফপির

আরও পড়ুন: রাফায় ইসরায়েলি আক্রমণ থামাতে বাইডেনের চাপ, মিশরের হুমকি

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বলেছেন, তিনি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তার দাবি, এই ধরনের উদ্যোগ ‘সন্ত্রাসবাদের জন্য একটি বিশাল পুরস্কার প্রদান করবে।’

মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী শান্তির জন্য একটি ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়ে বেশ কয়েকটি আরব দেশের সঙ্গে কাজ করছে।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এই পরিকল্পনায় একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য দৃঢ় সময়সীমা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

আরও পড়ুন: ইসরায়েলকে অমানবিকতা চালানোর লাইসেন্স দেওয়া হয়নি: যুক্তরাষ্ট্র

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘ইসরায়েল একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের একতরফা স্বীকৃতির বিরোধিতা অব্যাহত রাখবে।’

তার দাবি,‘এ ধরনের স্বীকৃতি ৭ অক্টোবরের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে নজিরবিহীন সন্ত্রাসবাদের জন্য একটি বিশাল পুরষ্কার প্রদান করবে এবং ভবিষ্যতের শান্তি চুক্তিতে বাধা দেবে।’

ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, অন্তত ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি দিয়ে পরিকল্পনাটি নিয়ে আলোচনা শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা আশা করছেন, ১০ মার্চ পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার আগে যুদ্ধ বিরতির একটি চুক্তিতে পৌঁছানো যেতে পারে। চুক্তিতে যুদ্ধবিরতি ৭ অক্টোবরের হামলার পর থেকে গাজায় হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তি এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য একটি সময়সূচি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

আরও পড়ুন: গাজা থেকে আহত সেনা ফেরাতে ১৫০০ অভিযান ইসরায়েলের

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে ২৮ হাজার ৭৭৫ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে ১১২ জন। এদিকে জাতিসংঘ প্রধান বলেছেন যে, বৈশ্বিক ব্যবস্থা এখন আর কাজ করছে না।

আনাদুলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলায় নিহত হয়েছেন ২৮ হাজার ৭৭৫ জন। আহত হয়েছেন ৬৮ হাজার ৫৫২ জন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, 'অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে ও রাস্তায় আটকে আছে এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না।

খবরে বলা হয়েছে, খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির শিকার হয়েছেন গাজার ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা। ছিটমহলের বেশিরভাগ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন: হুথিদের সামরিক শক্তি কেমন, ইয়েমেন কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

তেল আবিব এখন গাজার দক্ষিণের শহর রাফাহতে একটি স্থল আক্রমণের পরিকল্পনা করছে, যেখানে ১৪ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

একে