আন্তর্জাতিক ডেস্ক
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:০০ এএম
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে আকাশ, সাগর ও স্থলপথে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামলা করছে ইসরায়েল। দখলদার বাহিনীটির হামলায় প্রায় পুরো গাজা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। হাজার হাজার বাড়ি মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নির্মূল করার লক্ষ্যে নির্বিচারে চালানো হামলায় প্রায় পৌনে ২৭ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। শরণার্থী শিবির থেকে শুরু করে এমন কোনো স্থাপনা নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালাচ্ছে না। এবার ইসরায়েলি সেনারা খান ইউনিসের আল-আমাল হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে।
প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী আল-আমাল হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে এবং সেখানে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত লোকদের বন্দুকের মুখে সরিয়ে নেওয়ার দাবি করছে। নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সসহ খান ইউনিসের হাসপাতালটি এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে অবরোধ ও ইসরায়েলি ট্যাংক ফায়ারের অধীনে রয়েছে। পিআরসিএস দল এবং বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিরা বর্তমানে ভয়াবহ বিপদে আছে বলে এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন
চরম খাদ্য সংকটে গাজায় ‘নারকীয় পরিস্থিতি’: ডব্লিউএইচও
হামলার পর চিকিৎসক ও বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়ার দাবি করছে প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট।
এছাড়া মধ্য গাজার দেইর এল-বালাহ শহরের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট।
হামাসের রাজনৈতিক প্রধান নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পর্যালোচনা করে বলেছেন, ‘অগ্রাধিকার হচ্ছে গাজার বিরুদ্ধে নৃশংস আগ্রাসন বন্ধ করা এবং দখলদার বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার।’
এদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনের ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাকর্মী ও বেসামরিক নাগরিকের ছদ্মবেশে ইসরায়েলি কমান্ডোরা তিনজনকে গুলি করে হত্যা করেছে। তিনজন ‘সন্ত্রাসী’ হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল বলে দাবি করছে ইসরায়েল।
গত অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ২৬ হাজার ৭৫১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৬৫ হাজার ৬৩৬ জন।
এমআর