আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৫৮ পিএম
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য ২.৫ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা দিয়েছে ভারত। বৃহস্পতিবার দেশটি দ্বিতীয় দফায় এ অর্থ পাঠিয়েছে।
ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ‘গাজায় চলমান যুদ্ধের মধ্যে ভারত ২০২৩-২৪ সালের জন্য পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বার্ষিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে। দেশটি ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থাকে ২.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ পাঠিয়েছে।
জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থা ১৯৫০ সাল থেকে নিবন্ধিত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য সরাসরি ত্রাণ ও বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করছে।
আরও পড়ুন: গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া
জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো এই সংগঠনের মাধ্যমে স্বেচ্ছায় সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ সাহায্য পাঠায়। পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সাহায্যে ওই অর্থ ব্যবহৃত হয়।
উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ওপর প্রায় দুই মাস ধরে ইসরায়েল পাশবিকতা চালিয়ে গেলেও কোনো পশ্চিমা দেশ বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন পর্যন্ত তেল আবিবকে আগ্রাসন বন্ধ করতে বাধ্য করছে না।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার ৩২০ জন।
গাজার সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হতাহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫৫ হাজার ৬০৩ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি সেনারা গাজার কেন্দ্রস্থলে ঢুকে পড়েছে
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায়। ওই অভিযানে ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দী করে নিয়ে গাজা উপত্যকায় ফিরে যায়। সেদিন থেকেই ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজায় ভয়াবহ রক্তাক্ত অভিযান শুরু করে যা এখন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে।
ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে, আল-জাজিরা, আনাদোলু এজেন্সি
এমইউ