আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৩৮ পিএম
কুয়েতের আমির শেখ নওয়াফ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ-এর মৃত্যুতে ৪০ দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে। এখন নতুন আমির হয়েছেন মরহুম আমিরের সৎ ভাই ও কুয়েতের ক্রাউন প্রিন্স মাশআল আল-আহমাদ আস-সাবাহ (৮৩)।
এ বিষয়ে কুয়েতের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ‘শেখ নওয়াফের মৃত্যুর পর ৮৩ বছর বয়সী যুবরাজ ও সৎ ভাই শেখ মাশআল আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহকে দেশের নতুন আমির নিযুক্ত করা হয়েছে।’
মাশআল ছিলেন বিশ্বের বেশি বয়সী ক্রাউন প্রিন্স বা যুবরাজদের একজন। নওয়াফ আহমাদ জাবির আস-সাবাহ ২০২১ সালের নভেম্বর থেকেই তার কিছু ক্ষমতা মাশআলের হাতে অর্পণ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: আরব বিশ্বে কুয়েতের আমির নওয়াফের ভূমিকা এবং তার উত্তরসূরি
এরপর শারীরিক অসুস্থতার কারণে শেখ মাশআলের কাছে শেখ নওয়াফ নিজেই তার বেশিরভাগ দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন। মূলত, ২০২১ সাল থেকেই মাশআল কুয়েতের প্রকৃত শাসক।
কুয়েতের সংবিধানের অধীনে পূর্ববর্তী আমির অক্ষম হয়ে গেলে ক্রাউন প্রিন্স আমির হন। এখন শেখ মাশআল সংসদে শপথ গ্রহণের পর ক্ষমতা গ্রহণ করবেন। নতুন আমিরের উত্তরাধিকারীর নামকরণের জন্য এক বছর পর্যন্ত সময় থাকে।
উল্লেখ্য, কুয়েত সরকার শেখ নওয়াফ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহর (৮৬) মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কোন তথ্য জানায়নি। তবে তার মৃত্যুর পর ৪০ দিন জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে এবং তিন দিন সরকারের বিভিন্ন দফতর বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: কুয়েতের আমির শেখ নওয়াফ আর নেই
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার সৎ ভাই শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহর মৃত্যুর পর শেখ নওয়াফ ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে শপথ গ্রহণ করেছিলেন। শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহ ৯১ বছর বয়সে মারা গিয়েছিলেন। এরপরই কুয়েতের শাসক হিসেবে দায়িত্ব পান শেখ নওয়াফ।
২০২০ সালে আমির নিযুক্ত হওয়ার আগে শেখ নওয়াফ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯০ সালে ইরাকের সামরিক বাহিনী যখন কুয়েতে আগ্রাসন চালায় তখন তিনি দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন। এছাড়া, তিনি কুয়েতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে অনেক দিন দায়িত্ব পালন করেছেন।
সূত্র : রয়টার্স, উইওন নিউজ
এমইউ