images

আন্তর্জাতিক

আরব বিশ্বে কুয়েতের আমির নওয়াফের ভূমিকা এবং তার উত্তরসূরি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:১৭ পিএম

কুয়েতের আমির শেখ নওয়াফ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ তার বিনয়ী ব্যবহার ও ক্ষমাশীলতার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। একইসাথে তিনি পারস্য উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোর দ্বন্দ্ব মিটাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছেন। এখন মরহুম আমিরের সৎ ভাই কুয়েতের ক্রাউন প্রিন্স ৮৩ বছর বয়সী মাশআল আল-আহমাদ আস-সাবাহ আমিরের স্থলাভিষিক্ত হবেন বলে জোর সম্ভাবনা রয়েছে। 

কুয়েতের আমির শেখ নওয়াফ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহর মৃত্যুর পর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ‘কুয়েতের আমির মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। কুয়েতের আমির আজ (১৬ ডিসেম্বর) ৮৬ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেছেন। শেখ নওয়াফের মৃত্যুতে সে দেশের সব চ্যানেল তাদের নির্ধারিত সকল অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে কেবল কোরআন তেলাওয়াত সম্প্রচার করছে। কুয়েতের পাশাপাশি সৌদি আরব এবং কাতারের সরকারি টিভি চ্যানেলগুলোও তাদের নির্ধারিত অনুষ্ঠানমালা বন্ধ করে দিয়ে কোরআন তেলাওয়াত সম্প্রচার করছে।

আরও পড়ুন: আরও দু’টি পণ্যবাহী জাহাজে হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

শেখ নওয়াফ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ ১৯৩৭ সালের ২৫ জুন জন্মগ্রহণ করেন। ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহ’র মৃত্যু হলে তিনি কাতারের আমির নির্বাচিত হন। শেখ নওয়াফ কুয়েতের ১৬তম আমির এবং স্বাধীনতা পরবর্তীকালের ষষ্ঠ আমির ছিলেন।

তিনি কুয়েতেই মাধ্যমিক শিক্ষা লাভ করেন। তিনি উচ্চশিক্ষিত ছিলেন না।

তিনি হাওয়ালি প্রদেশের গভর্নর হিসেবে ২৫ বছর বয়সে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন।

তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে কুয়েতের আমিরি আদালত এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তার মৃত্যুর কারণ অসুস্থতা। শেখ নওয়াফ অসুস্থতার কারণে নভেম্বরের শুরু থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। কুয়েতের আমিরি আদালত গতকাল তার শরীরের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়ে দেশের জনগণকে তার জন্য দোয়া করতে বলেছিল। চলতি বছর তিনি চিকিৎসার জন্য বেশ কয়েকবার ইতালি যান।

আরও পড়ুন: কুয়েতের আমির শেখ নওয়াফ আর নেই

মরহুম আমিরের সৎ ভাই কুয়েতের ক্রাউন প্রিন্স ৮৩ বছর বয়সী মাশআল আল-আহমাদ আস-সাবাহ আমিরের স্থলাভিষিক্ত হবেন বলে জোর সম্ভাবনা রয়েছে। নওয়াফ আহমাদ জাবির আস-সাবাহ ২০২১ সালের নভেম্বর থেকেই তার কিছু ক্ষমতা মাশআলের হাতে অর্পণ করেছিলেল।

পারস্য উপসাগরের আরবি গণমাধ্যমগুলো শেখ নওয়াফ সম্পর্কে লিখেছে, গত জানুয়ারিতে জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তিনি বেশ কয়েকজন বন্দীকে ক্ষমা করার আদেশ জারি করেছিলেন। কুয়েতের আমির শেখ নওয়াফ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ তার বিনয়ী ব্যবহার ও ক্ষমাশীলতার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে তার প্রচেষ্টার কারণে কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের মধ্যে উত্তেজনার অবসান ঘটে। পারস্য উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোর দ্বন্দ্ব মিটাতে তার ভূমিকা খুবই কার্যকর ছিল।

সূত্র : আল-জাজিরা, আল-আরাবিয়া টিভি

এমইউ