images

আন্তর্জাতিক

চীনের ঋণ খেলাপির রেকর্ড, লাখ লাখ নাগরিক কালো তালিকাভুক্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:৩৫ পিএম

ঝাং কংঝি দুই বা তিন বছর আগে টাকা ধার করা শুরু করেছিলেন, যখন অনলাইনে ঋণ পাওয়া সহজ ছিল। এখন সেই ঋণ শোধ করার মতো টাকা নেই দেশটির চাংসা অঞ্চলের এ ব্যবসায়ীর।

ভয়েস অব আমেরিকাকে ঝাং বলেন, আমি এক লাখ ইউয়ানেরও বেশি (১৩ হাজার ৭০০ মার্কিন ডলার) ঋণের মধ্যে আছি। কেউ আমাকে সাহায্য করছে না। আমি মনে করি যে এখন আমার জন্য একমাত্র সমাধান হচ্ছে - ঋণ পরিশোধে বিলম্ব করা।’

করোনা মহামারি এবং চীনের কঠোর লকডাউনের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সময় যেসব চীনা নাগরিক ঋণ নিয়েছিলেন - সেসব লাখ লাখ মানুষের মধ্যে  ঝ্যাং একজন।

আরও পড়ুন: শি জিনপিংয়ের ভিয়েতনাম সফর এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?

এখন চীন তাদের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম করছে এবং দেশটি বেকারত্বের হার বেশি। এখন চীনে ঋণগ্রস্ত নাগরিকদের সংখ্যাও বাড়ছে।

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের একটি নিবন্ধ অনুসারে, চীনের স্থানীয় আদালত জানিয়েছে যে দেশটিতে ঋণগ্রহীতাদের ঋণ খেলাপির রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। করোনা মহামারির কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে চীনা কর্তৃপক্ষ টোল রাস্তা ব্যবহার করা থেকে এয়ারলাইন টিকিট কেনা পর্যন্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে ৮৫ লাখ ৪০ হাজার (৮.৫৪ মিলিয়ন) লোককে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। এমনকি তারা ডিজিটাল পেমেন্ট অ্যাপ্লিকেশনও ব্যবহার করতে পারবেন না। 

এখন চীনের এক শতাংশ লোক ঋণ খেলাপি বলে জানিয়েছে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস নামের এ গণমাধ্যমটি। এর আগে দেশটিতে ২০২০ সালে ৫৭ লাখ লোক ঋণ খেলাপি ছিল।

আরও পড়ুন: কেন বিশ্বজুড়ে অস্ত্র বিক্রি কমেছে?

চীনে আলি পে ও উইচ্যাট-এর মতো ইলেকট্রনিক পেমেন্ট প্ল্যাটফর্মগুলো সর্বাধিক ব্যবহৃত, এ গুলো অর্থপ্রদানের পদ্ধতি হিসেবে নগদকে প্রতিস্থাপন করেছে। এখন দেশটির অনেক দোকানে নগদে অর্থপ্রদান করা হয় না - ওই দোকানগুলোতে ডিজিটাল পেমেন্ট অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহৃত হয়।

এ কারণে চীনের ঋণ খেলাপিদের পক্ষে খাদ্যপণ্য ক্রয় করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ, দেশটির অনেক দোকান ডিজিটাল পেমেন্ট অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে তাদের অর্থ নেয়। এমনকি ঋণ খেলাপিরা চীনের সরকারি কর্মচারী হিসেবে কাজ করতে পারে না।

সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা

এমইউ