আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৩৫ পিএম
ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি সামরিক অবস্থানে ভয়াবহ হামলা করেছে ফিলিস্তিনিরা। শনিবার গাজা উপত্যকার প্রতিরোধ সংগঠনগুলো এ দাবি করেছে।
ইসলামিক জিহাদ আন্দোলনের সামরিক শাখা আল-কুদস ব্রিগেড তাদের টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে দাবি করেছে যে তারা দু’টি শেল (কামানের গোলা) দিয়ে একটি ইসরায়েলি সামরিক যানে হামলা করেছে। এ সময় গাজা শহরের পশ্চিমে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সৈন্য আহত হয়।
হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড দক্ষিণ গাজা শহরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কমান্ড সেন্টারগুলোতে গোলাবর্ষণ করেছে। এক্ষেত্রে ভারী-ক্যালিবারের মর্টার শেল দিয়ে হামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার প্রয়োজন: এরদোয়ান
এছাড়া তারা ইয়াসিন-১০৫ শেল দিয়ে খান ইউনিস শহরের পূর্ব অংশে একটি ইসরায়েলি মেরকাভা ট্যাঙ্ককে লক্ষ্য করে হামলা করেছে।
আল-কাসাম যোদ্ধারা উত্তর খান ইউনিস শহরে হানাদার ইসরায়েলি বাহিনীকে মর্টার শেল দিয়ে গোলাবর্ষণের পাশাপাশি গাজার "মাগেন"-এর ইসরায়েলি বসতিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায়, আল-কাসাম ব্রিগেড গাজা উপত্যকায় ২১টি ইসরায়েলি সামরিক যান সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার ঘোষণা দিয়েছে।
ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে এক সপ্তাহের মানবিক যুদ্ধবিরতির শেষে ১ ডিসেম্বর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় পুনরায় সামরিক অভিযান শুরু করে।
উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ওপর প্রায় দুই মাস ধরে ইসরায়েল পাশবিকতা চালিয়ে গেলেও কোনো পশ্চিমা দেশ বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন পর্যন্ত তেল আবিবকে আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান পর্যন্ত জানায়নি।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭ হাজার ৪৮৭ জন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ১৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজার সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগ নারী ও শিশু।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায়। ওই অভিযানে ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দী করে নিয়ে গাজা উপত্যকায় ফিরে যায়। সেদিন থেকেই ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজায় ভয়াবহ রক্তাক্ত অভিযান শুরু করে যা এখন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে।
ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’
সূত্র : আল-জাজিরা, মিডল ইস্ট আই, আনাদোলু এজেন্সি
এমইউ