আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:১৯ পিএম
গাজায় ফিলিস্তিনিদের হামলায় আরও দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এ খবর দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ‘গাজায় দু’জন সেনা নিহত হয়েছে।’
অক্টোবরের শেষ দিকে হামাসের বিরুদ্ধে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে ফিলিস্তিনিদের হামলায় মোট ৮৬ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধে জটিলতা বাড়াচ্ছে ইয়েমেনের ক্ষেপণাস্ত্র
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের বাড়ি ঘিরে ফেলেছে ইসরায়েলের সেনারা। তিনি বাড়িতে আছেন কিনা তা জানা যায়নি।
নেতানিয়াহু এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, ''গতকালই আমি বলেছিলাম যে গাজা ভূখণ্ডের যেকোনো জায়গায় আমাদের সেনারা পৌঁছাতে পারবে। আজ আমাদের সেনারা সিনওয়ারের বাড়ি ঘিরে ফেলেছে। হতেই পারে যে তিনি ওখানে নেই। তিনি পালিয়েও যেতে পারেন। তবে আজ না হয় কাল, তাকে ধরা হবেই।''
সিনওয়ারের বাড়ি দক্ষিণ গাজায় খান ইউনিস শহরে বলে জানা গেছে। বুধবার সেখানে ইসরায়েলের সেনারা খুবই তৎপর ছিল। ইসরায়েলের ধারণা, হামাসের নেতারা এখন দক্ষিণ গাজায় আছেন। কারণ, প্রথম দিকে লড়াইটা উত্তর গাজায় সীমাবদ্ধ ছিল। তারা তখন দক্ষিণ গাজায় চলে এসেছেন।
সিনওয়ার দুই দশকের বেশি সময় ইসরায়েলের জেলে ছিলেন। দুই ইসরায়েলি সেনা ও তাদের চারজন ফিলিস্তিনি সঙ্গীকে খুন করার দায়ে তার শাস্তি হয়েছিল।
আরও পড়ুন: গাজা যুদ্ধ নিয়ে পুতিনের সঙ্গে কথা বলতে রাশিয়ায় ইরানি প্রেসিডেন্ট
২০১১ সালে ইসরায়েলের সেনা জিলাদ শালিটের মুক্তির বিনিময়ে এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল। তার মধ্যে সিনওয়ারও ছিল। ২০১৭ সালে সিনওয়ার গাজায় হামাসের প্রধান হন।
জাতিসংঘের প্রধানের বক্তব্য
জাতিসংঘের প্রধান আন্তেনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, গাজার কোনো এলাকাই আর নিরাপদ নয়। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গুতেরেস বলেছেন, ''গাজায় পুরো মানবিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে। পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হচ্ছে। ফিলিস্তিন তো বটেই, গোটা অঞ্চলের শান্তি ও সুরক্ষার ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।''
গুতেরেস জানিয়েছেন, ''এই পরিস্থিতি যেকোনো মূল্যে এড়াতে হবে।'' ২০১৭ সাল থেকে গুতেরেস জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেলের পদে আছেন। এই প্রথম তিনি জাতিসংঘের চার্টারের আর্টিকেল ৯৯ ধারা প্রয়োগ করলেন। তিনি নিরাপত্তা পরিষদের সামনে গাজার বিষয়টি নিয়ে এলেন।
গুতেরেস বলেছেন, বর্তমানে গাজায় যে পরিস্থিতি রয়েছে, তাতে মানবিক ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। যুদ্ধবিরতি হলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে
অপরদিকে জি-৭ নেতারা বুধবার একটি ভিডিও বৈঠক করেছেন। তাদের মত হলো, গাজায় সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া। এর জন্য যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।
তারা ইরানের কাছেও আবেদন জানিয়ে বলেছে, তারা যেন হিজবুল্লাহ বা হুতি যোদ্ধাদের সমর্থন না করে।
সূত্র : আল-জাজিরা, মিডল ইস্ট আই, রয়টার্স
এমইউ