আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪০ এএম
বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র তার তৎপরতা চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনের কো-অর্ডিনেটর জন কিরবি। বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান আবারও স্পষ্ট করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যা চায় আমরাও তাই চাই এবং তা হলো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। এটিই রাষ্ট্রদূত (পিটার হাস) চেয়েছিলেন।
স্থানীয় সময় বুধবার মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগবিষয়ক সমন্বয়কারী জন কিরবি এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান। এ সময় তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে বলে যে অভিযোগ রাশিয়া করেছে তা প্রোপাগান্ডা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নির্বাচনের ফল নিয়ে ভাবছে না যুক্তরাষ্ট্র
জন কিরবিকে প্রশ্ন করা হয়, মস্কো সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। আপনি জানেন, রাষ্ট্রদূত পিটার হাস (বাংলাদেশে) অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিতের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও অন্যান্য অংশীদারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তিনি বাংলাদেশে তার নিরাপত্তায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কারণ তিনি বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে সহিংস বক্তব্যের সম্মুখীন হচ্ছেন। এক্ষেত্রে তার (পিটার হাস) নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাকে বলতে চাই যে, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং রাশিয়ানরাও জানে যে এটি মিথ্যা। এটি কেবল উন্নতমানের রুশ প্রোপাগান্ডা। বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, আমরাও তা-ই চাই এবং তা হলো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।’
জন কিরবি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত (পিটার হাস) ও তার টিম আগে যেভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক সেইভাবে তাঁরা বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ, বিরোধী দল, সরকারসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবেন। বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক প্রত্যাশা পূরণে এবং দেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে যেন সম্মান করা হয়, তা নিশ্চিতে তাঁদের কঠোর পরিশ্রম অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশে আমরা সেটাই করে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবাধ-শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
আরেক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন কূটনীতিক বলেন, আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাস করি এবং আমরা তা অব্যাহত রাখব। আমরা বিদেশি নির্বাচনে কোনো পক্ষ নিই না এবং বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এর কোনো পরিবর্তন হবে না। আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। বাংলাদেশের জনগণের এই মৌলিক আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করার জন্য রাষ্ট্রদূতের টিমের মতো আমরা যা করতে পারি, তা চালিয়ে যাব।
একে