images

আন্তর্জাতিক

ভারতে বন্দুকযুদ্ধে ১৩ জন নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:১৭ পিএম

ভারতের মণিপুরে বন্দুকযুদ্ধে ১৩ জন নিহত হয়েছে। সোমবার স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এ খবর দিয়েছে।

ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘আজ (ডিসেম্বর ৪) মণিপুরের টেংনুপাল জেলায় জঙ্গিদের দু’টি গ্রুপের মধ্যে বন্দুক-যুদ্ধে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন।’ সোমবার দুপুরে লেইথু গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান তারা।

এ পার্বত্য জেলার এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘মিয়ানমার যাওয়ার পথে একদল জঙ্গি ওই এলাকায় প্রভাবশালী বিদ্রোহীদের আরেকটি দল দ্বারা অতর্কিত হামলার শিকার হয়।’

আরও পড়ুন: প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত ভারত, নিহত ২

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সংঘর্ষের ফলে ব্যাপক হতাহত হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে ১৩ লাশ পেয়েছে। মৃতদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে - মৃতরা স্থানীয় বাসিন্দা নয়।

মিয়ানমারের সঙ্গে অনিরাপদ সীমান্ত থাকায় সম্প্রতি তেংনোপাল জেলার মানুষ জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সামরিক উত্তেজনা এবং বিক্ষিপ্ত ঘটনার সাক্ষী হয়েছে।

রোববার মণিপুর সরকার ১৮ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্দিষ্ট এলাকা বাদ দিয়ে রাজ্যজুড়ে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা পুনরায় চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বর্ণিত সিদ্ধান্তটি আইনশৃঙ্খলার উন্নতি বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া মোবাইল ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞার কারণে জনগণের অসুবিধার কথাও স্বীকার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ‘আইন শৃঙ্খলার উন্নতি এবং মোবাইল ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞার কারণে জনগণের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে রাজ্য সরকার স্থগিতাদেশ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

জাতিগত সহিংসতার পরে ৩ মে থেকে মণিপুর রাজ্যে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: যেভাবে ভারতে উজবেক নারীদের অনৈতিক কাজে নামানো হয়

উল্লেখ্য, গত ৮ মাস ধরে মেতেই-কুকি গোষ্ঠী সংঘর্ষে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মণিপুর রাজ্য। ৩ মে ভারতের উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে মেতেই-কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত সংঘর্ষ শুরু হয়। এখনও সেখানে সংঘাত চলছে। পরিসংখ্যান বলছে, মণিপুরে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ২০০ জন। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনা মোতায়েন করা হলেও জাতিগত সংঘর্ষ চলছে সেখানে। 

কয়েক দিন আগেই ইম্ফলে মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিংয়ের বাংলোর কাছেই এক থানায় হামলা চালিয়ে অস্ত্র লুটের চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। তাদের রুখতে গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। এছাড়া মণিপুর রাজ্যে মেতেই-কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যেকার জাতিগত সংঘর্ষের সুযোগ নিয়ে হিংসার আগুনে ঘি ঢালছে জঙ্গি সংগঠনগুলো। 

সূত্র : ইন্ডিয়া টিভি, পিটিআই

এমইউ