images

আন্তর্জাতিক

ভারতের তিন রাজ্যে এগিয়ে বিজেপি, তেলেঙ্গানায় কংগ্রেস 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৪৮ পিএম

চার রাজ্যের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে কার্যত কংগ্রেস-বিজেপির মুখোমুখি লড়াই হয়েছে। তার মধ্যে মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে শুরু থেকেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। ছত্তিশগড়ে বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে এক সময় জোর টক্কর চললেও ক্রমে ব্যবধান বাড়িয়ে নিয়েছে বিজেপি। ‌অন্যদিকে, তেলঙ্গানায় শাসকদল বিআরএসকে পিছনে ফেলে কংগ্রেস এগিয়ে গেছে। তিন রাজ্যে হতে পারে ক্ষমতার পালাবাদল।

তেলেঙ্গানায় এবার কংগ্রেস ভালো ফল করবে তা প্রায় সব বুথ ফেরত সমীক্ষা, জনমত সমীক্ষায় বলা হয়েছিল। সেখানে কংগ্রেস তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিআরএসের থেকে অনেকটাই এগিয়ে গেছে। মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, যিনি কেসিআর নামেই পরিচিত, তার বিরুদ্ধে মানুষ এবার ভোট দিয়েছে।। এগিয়ে পিছিয়ে থাকর হিসাবে দেখা যাচ্ছে, কংগ্রেস ৬৪টি ও বিআরএস ৪০টিতে এগিয়ে। বিজেপি এগিয়ে সাতটি আসনে।

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে শিখ হত্যাচেষ্টায় সংশ্লিষ্ট ভারতীয় অফিসার ‘সিসি-১ কে?

কিন্তু কংগ্রেসের সাফল্য বলতে এইটুকুই। ক্ষমতাসীন দুইটি রাজ্য ছত্তিশগড় ও রাজস্থান কংগ্রেসের হাতছাড়া হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশও তারা জিততে পারছে না। বোঝা যাচ্ছে, হিন্দিবলয়ে কংগ্রেস বিজেপি-র সঙ্গে এঁটে উঠতে পারছে না। রাজস্থান কংগ্রেসের হাতছাড়া হতে পারে, সেই একটা অনুমান আগেই করা হচ্ছিল। 
সধারণত, রাজস্থানে পাঁচ বছর  পরপর সরকার বদল হয়। কিন্তু কংগ্রেসের দাবি ছিল ছত্তিশগড় তাদের শক্ত জমি। মধ্যপ্রদেশেও তারা ভালো ফল করবে। সেটা দাবিই থেকে গেল। এই ফলাফলের পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেস আরও চাপে পড়ে গেল। এই সব রাজ্যে ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা কংগ্রেসের ওপর লোকসভায় আসন ছাড়ার জন্যও চাপ বাড়াতে পারে। 

কংগ্রসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ-র আমলেই তেলেঙ্গানা আলাদা রাজ্যের মর্যাদা পেয়েছিল। কিন্তু তারপরেও কংগ্রেস সেখানে পরপর দুইবার ক্ষমতায় আসতে পারেনি। দু’বারই কেসিআরের দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। এবার কংগ্রেস সেখানে দুর্নীতির পাশাপাশি ঢালাও জনমোহিনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তেলেঙ্গানায় এবার জয়ের মুখে কংগ্রেস। ফলে কংগ্রেস দক্ষিণ ভারতে কর্ণাটকের পর আরও একটি রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে চলেছে। তামিলনাড়ুতে তারা ডিএমকে জোটের শরিক হিসাবে ক্ষমতায় আছে।

এগিয়ে পিছিয়ে থাকার হিসাবে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি মধ্যপ্রদেশে অনেকটা এগিয়ে গেছে। ২৩০ বিধানসভায় তারা ১৬০টি আসনে এগিয়ে। কংগ্রেস এগিয়ে ৬৮টিতে। বিজেপি যে মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারছে, তা থেকে বোঝা যাচ্ছে, মধ্যভারতের এই রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রভাব এখনও অক্ষুন্ন আছে। কারণ, এখানে মোদিকে সামনে রেখেই ভোটে লড়েছিল বিজেপি।

আরও পড়ুন: ভারতের দিকে ধেয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড়

রাজস্থানে প্রাথমিকভাবে হড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছিল। কখনও কংগ্রেস, কখনও বিজেপি এগিয়ে ছিল। প্রাথমিকভাবে বিজেপি এখন কিছুটা এগিয়ে। তারা ১১৬টি ও কংগ্রেস  ৬৮ আসনে এগিয়ে আছে।

ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস বিজেপি-র থেকে এগিয়ে আছে। ভূপেশ বাঘেলের রাজ্যে কংগ্রেস এগিয়ে ৩৩ ও বিজেপি ৫৪টিতে। ছত্তিশগড়ে মহাদেব বেটিং অ্যাপের সঙ্গে জড়িত বলে মুখ্যমন্ত্রী বাঘেলের নাম সামনে এসেছিল। সেটা তাদের বিপক্ষে গেছে বলে কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন। 

তবে তিন রাজ্যে জয় লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি-কে আরও ভালো জায়গায় নিয়ে গেল। 

সূত্র : ডয়চে ভেলে

এমইউ