আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৫০ এএম
ফিলিস্তিনের গাজায় বোমা হামলার চলাকালীন যুদ্ধবিরতি নিয়ে দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে আর কোনো আলোচনা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমে আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর ডেপুটি প্রধান সালেহ আল-আরোরি বলেন, গাজায় যতক্ষণ পর্যন্ত হামলা অব্যাহত থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো ধরনের বন্দি বিনিময় হবে না। এই সময় যুদ্ধবিরতি নিয়েও কোনো আলোচনা হবে না। আগ্রাসন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং টেকসই ও নিশ্চিত যুদ্ধবিরতি না হওয়া পর্যন্ত বন্দি বিনিময়ও হবে না।
সালেহ আল-আরোরি আরও বলেন, ‘দখলকার ইসরায়েল জোর দিয়ে বলেছে- গাজায় এখনও নারী ও শিশুদের আটকে রাখা হয়েছে। কিন্তু আমরা বলেছি- আমরা তাদের সবাইকে ছেড়ে দিয়েছি। সৈনিক এবং এমন বেসামরিক ব্যক্তি যারা দখলদার সেনাবাহিনীতে কাজ করেছে তারাই গাজায় আটক রয়েছে। আমাদের সমস্ত বন্দিকে মুক্তি না দেওয়া এবং যুদ্ধবিরতি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের হাতে আটক ইহুদিবাদী বন্দিদের মুক্তি দেব ন।
আরও পড়ুন
ফের শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ১৩
স্থলযুদ্ধ, আকাশ বা অন্যান্য যুদ্ধে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মোকাবিলা করতে প্রতিরোধ দল প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
এর আগে যুদ্ধবিরতির আলোচনা করতে কাতারের রাজধানী দোহায় যাওয়া গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের দলকে ফিরে আসার নির্দেশ দেয় ইসরায়েল। আলোচনায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দখলদার ইসরায়েল।
গত ৭ অক্টোবর গাজা সংলগ্ন দক্ষিণ ইসরায়েলে নজিরবিহীন আক্রমণ চালিয়ে সবাইকে স্তম্ভিত করে দেয় হামাসের যোদ্ধারা। ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসের এই আক্রমণে ১২০০ জন নিহত হয়েছে। হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে ধরে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে রাখে।
এর প্রতিশোধ নিতে ওইদিন থেকেই গাজায় ভয়াবহ হামলা শুরু করে ইসরায়েল। টানা হামলায় প্রায় ১৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয় বলে জানায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
টানা দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে হামলার পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল ও হামাস। ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। এরপর দুই দফায় মোট তিন দিন বাড়ানো হয় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ।
যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে আন্তর্জাতিক চাপ ও হামাসের পক্ষ থেকে নতুন করে প্রস্তাব দেওয়া সত্ত্বেও রাজি হয়নি ইসরায়েল। গত শুক্রবার সকাল থেকে গাজায় আবার হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।
এমআর