ঢাকা মেইল ডেস্ক
২৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:০২ পিএম
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার চার দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি অবশেষে শুক্রবার সকাল থেকে কার্যকর শুরু হয়েছে। এর আওতায় প্রথম ধাপে ইসরায়েলের ১৩ নারী ও শিশু জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। একই সঙ্গে ১২ জন থাই নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি। খবর আল জাজিরা ও টাইমস অব ইসরায়েলের।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় ১২ জন থাই নাগরিককে হামাস মুক্তি দেয় বলে নিশ্চিত করেছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন। এর পরপর ইসরায়েলি ১৩ জিম্মিকে রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করে হামাস।
এই মুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছে কাতার। দেশটি আশা করছে, রাফাহ ক্রসিং থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গাজায় সাহায্য পাঠানো যাবে।
গত ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ বাধে। ওইদিন ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে হামলা চালায় হামাসের সশস্ত্র যোদ্ধারা। অসংখ্য ইসরায়েলিকে হত্যা করা ছাড়াও সেদিন প্রায় ২৫০ জনকে ধরে গাজায় নিয়ে আসে তারা। যাদের মধ্যে থাইল্যান্ডের ২৩ নাগরিকও ছিলেন।
যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে বলা হয়েছে, প্রথম ৫০ জনকে মুক্তি দেওয়ার পর প্রতি ১০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হলে একটি অতিরিক্ত দিন যুদ্ধবিরতি থাকবে বা যুদ্ধবিরতি এক দিন বাড়ানো হবে।
জিম্মিদের স্বজনরা বিবিসিকে জানিয়েছে, তারা এমন কোনো আংশিক চুক্তি চায় না- যেখানে শুধু কিছুসংখ্যক জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। তবে এই ধারাটি অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে বাকি জিম্মিরা মুক্তি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই সংঘাতে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করে আসছে কাতার। এর আগেও হামাসের হাতে জিম্মি চারজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল শুধু কাতারের মধ্যস্থতায়।
যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর মিসর থেকে রাফাহ সীমান্ত দিয়ে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ট্রাক ঢুকতে শুরু করেছে। মিসর জানিয়েছে, প্রতিদিন দুশোটি ট্রাক ঢুকবে। এক লাখ ৩০ হাজার টন ডিজেলও নিয়ে যাওয়া হবে। যুদ্ধের আগে দিনে পাঁচশ ট্রাক গাজায় ঢুকত।
তবে শুক্রবারের এই বিরতি সাময়িক বলে জানিয়ে দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং সামরিক প্রধান। সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, একটা লম্বা লড়াইয়ের মাঝে সামান্য বিরতি। তার বক্তব্য, উত্তর গাজায় আধিপত্য কায়েম করা এই লড়াইয়ের প্রথম পদক্ষেপ বলা যেতে পারে। এখনো অনেক লড়াই বাকি আছে। তিনি জানিয়েছেন, পরবর্তী লড়াইয়ের পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই পরবর্তী ধাপের লড়াই শুরু হবে।
দ্য টাইমস অফ ইসরায়েল পত্রিকায় দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, আরও অন্তত দুই মাস লড়াই চলবে। পত্রিকাটি জানিয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী দেশের সেনা বাহিনীকে পরবর্তী ধাপের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। নতুন করে অস্ত্রের জোগান দেওয়ার কথাও বলেছেন।
জেবি