images

আন্তর্জাতিক

ভারতে টানেলে আটক শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ থমকে গেল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৪ নভেম্বর ২০২৩, ০২:০৩ পিএম

ভারতের উত্তরকাশীতে টানেলে আটক শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ ফের থমকে গেছে। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এসব শ্রমিক ১১ দিনের বেশি সময় ধরে টানেলে আটকা পড়েছেন।

উত্তরকাশীতে ভেঙে পড়া টানেল থেকে শ্রমিকদের বের করে আনতে আবারও বাধার মুখে পড়তে হলো উদ্ধারকারীদের। বৃহস্পতিবার রাতে আটকে পড়া শ্রমিকদের থেকে কয়েক মিটার দূরত্বেই ফের থমকে গেল উদ্ধারকাজ। যে যন্ত্র দিয়ে সুড়ঙ্গের মাটি কাটা হচ্ছিল তাতে প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেওয়ায় কাজ থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, যে কাঠামোর ওপর দাঁড় করিয়ে যন্ত্রটিকে চালানো হচ্ছিল তাতেও ফাটল দেখা দিয়েছে। সুড়ঙ্গের কাছেই তৈরি করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর অস্থায়ী দফদতর। উদ্ধারকাজে নজর রাখতে সেখানেই সারা রাত থাকবেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী।

আরও পড়ুন: ‘ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ু আর মাত্র ৩ মাস’

সুড়ঙ্গের ভিতরে বুধবার রাতেই ঢুকে পড়েছিলেন ২১ জন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর উদ্ধারকারী। এরপর সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছিল, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার মধ্যে শ্রমিকদের সুড়ঙ্গ থেকে বের করে আনা হবে। কিন্তু তা-ও করা যায়নি। এখনও কয়েক মিটার খোঁড়া বাকি আছে। 

বুধবার রাতে ধ্বংসস্তূপ খুঁড়তে খুঁড়তে আচমকা সামনে চলে আসে লোহার রড। খননযন্ত্র দিয়ে তা সরানো যায়নি। ফলে উদ্ধারকাজ বাধা পায়। রড কেটে রাস্তা ফাঁকা করতে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানানো হয়। রডটি কাটতেই বেগ পেতে হয়েছে উদ্ধারকারীদের। 

এ ছাড়াও, একবার কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। টানা খুঁড়তে খুঁড়তে যন্ত্র অতিরিক্ত গরম হয়ে উঠেছিল। ফলে তা ঠান্ডা করার জন্য আরও কিছুটা সময় লাগে। বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছিল, অবশেষে লোহার রডটি কেটে সরানো গেছে। আটকে পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে উদ্ধারকারীদের দূরত্ব আর মাত্র ছয় মিটার। ফলে এবার দ্রুত কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদী সকলে। কিন্তু তার পরেই ফের প্রযুক্তিগত সমস্যা।

আরও পড়ুন: ভারতে টানেলে আটক শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ শেষ ধাপে

গত ১২ নভেম্বর উত্তরকাশী জেলার ব্রহ্মতাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের ওপর সিল্কিয়ারা ও ডন্ডালহগাঁওের মধ্যে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের একাংশ ধসে পড়ে। সুড়ঙ্গটি সাড়ে আট মিটার উঁচু এবং প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ। ভাঙা সুড়ঙ্গের ভিতরেই প্রায় ৬০০ মিটার ধ্বংসস্তূপের পিছনে আটকে পড়েছিলেন শ্রমিকেরা। ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে খুঁড়ে সেই দূরত্ব কমানোর চেষ্টা চলছে। আটকে পড়েন সেখানে কর্মরত ৪১ জন শ্রমিক। সেই ঘটনার ১১ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও উদ্ধার করা যায়নি সুড়ঙ্গের ভিতর আটকে পড়া শ্রমিকদের।

সুড়ঙ্গের বাইরে উদ্ধারের প্রস্তুতি তুঙ্গে। বুধবার রাত থেকেই সেখানে অপেক্ষা করছে ২০টি অ্যাম্বুল্যান্স। সুড়ঙ্গ থেকে বের করার পর প্রয়োজন হলে শ্রমিকদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। ঘটনাস্থলেও অস্থায়ী স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেখানে তৈরি আছে ৪১টি ‘বেড’। যে কোনো রকম জরুরি পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত উদ্ধারকারীরা।

সূত্র : এবিপি

এমইউ