images

আন্তর্জাতিক

টানেলে ১২ দিন, চোর-পুলিশ আর তাস খেলে সময় কাটছে ৪১ জনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৩ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:০১ পিএম

ভারতের উত্তরাখন্ডের উত্তরকাশীর ধসে পড়া টানেলে ১২ দিন ধরে আটকে রয়েছেন ৪১ শ্রমিক। শুরুতে তাদের কাছে পৌঁছানো কষ্টকর হলেও পরে ছোট সুড়ঙ্গ করে পাইপের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়। এখন চলছে তাদের উদ্ধারের শেষ ধাপ। আশা করা হচ্ছে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে। মানসিক চাপ কমাতে টানেলের মধ্যে চোর-পুলিশ আর তাস খেলছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আনন্দবাজার।

খবরে বলা হয়েছে, অবসর সময় কাটাতে চোর-পুলিশ এবং তাস খেলে সময় পার করছেন তারা। একই সঙ্গে চলছে সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে খোলা বাতাসে নিশ্বাস নেওয়ার এবং পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে দেখা করার অপেক্ষা। সেই অপেক্ষা আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হবে বলে উত্তরাখণ্ডের প্রশাসনিক কর্তারা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: প্রস্তুত অ্যাম্বুলেন্স, টানেলে উদ্ধারকারীরা: কখন বের করা হবে ৪১ জনকে

গত ১২ নভেম্বর উত্তরকাশী জেলার ব্রহ্মতাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের উপর সিল্কিয়ারা এবং ডন্ডালহগাঁওের মধ্যে নির্মীয়মাণ সাড়ে আট মিটার উঁচু এবং প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গের একাংশ ধসে পড়ে। ভাঙা সুড়ঙ্গের ভিতরেই আটকে পড়েন সুড়ঙ্গে কর্মকত ৪১ জন শ্রমিক। সেই ঘটনার ১২ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও উদ্ধার করা যায়নি শ্রমিকদের।

রাজ্য এবং কেন্দ্র— উভয় সরকারই ৪১ জন শ্রমিককে নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছে। উদ্ধারকারীদের তরফে জানানো হয়েছিল, বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যেই ভাঙা সুড়ঙ্গের মুখে আটকে থাকা পাথর সরিয়ে বার করে আনা হবে ওই ৪১ জনকে। কিন্তু তাদের বার করে আনতে আরও ১৫-১৬ ঘণ্টা লাগবে বলে মনে করছেন প্রশাসিক কর্তারা।

খবরে বলা হয়েছে, সুড়ঙ্গের মধ্যে সময় কাটাতে তিন পাত্তি, রামির মতো তাসের খেলায় মেতেছেন শ্রমিকেরা। চলছে চোর-পুলিশ খেলাও। অন্ধকার সুড়ঙ্গে মাঝেমধ্যে লুকোচুরিও খেলছেন ওই শ্রমিকেরা। তবে তারা বাইরে থেকে তাস নিয়ে ভিতরে ঢুকেছিলেন না খাবার, পানি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর পাশাপাশি তাদের বাইরে থেকে তাস পাঠানো হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। তারা মোবাইলে তাস খেলছেন কি না, তাও এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।

আরও পড়ুন: ২৩ দিনে হবে ৩৮ লাখ বিয়ে, খরচ ৫ লাখ কোটি!

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ১২ দিনের প্রথম কয়েক দিন উৎকণ্ঠায় কাটলেও উদ্ধারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ হওয়ার পর থেকে তাদের মনে আশার আলো জেগেছে। সুড়ঙ্গের মধ্যে একে অপরের সঙ্গে গল্প করে সময় কাটাচ্ছেন আটকে থাকা শ্রমিকেরা।

প্রসঙ্গত উত্তরাখণ্ডের প্রশাসনিক কর্তারা জানিয়েছেন, উত্তরকাশীর ভাঙা সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের প্রচেষ্টা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সুড়ঙ্গের মুখে আটকে থাকা পাথরের স্তূপ খুঁড়ে শ্রমিকদের অনেকটাই কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন উদ্ধারকারীরা। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁদের পাইপের মধ্যে দিয়ে বাইরে বার করে আনা হবে। সুড়ঙ্গের বাইরে বেরিয়ে এলেই যাতে ওই শ্রমিকদের সঠিক চিকিৎসা করা হয়, তার জন্য তৈরি রাখা হয়েছে ৪১টি অ্যাম্বুল্যান্সও। সেখানে আপৎকালীন হাসপাতালও বানানো হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সও।

একে