আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২২ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:০১ পিএম
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের এগারো জন ডেমোক্র্যাট স্টেট ডিপার্টমেন্টকে লেহি আইনের সম্ভাব্য লঙ্ঘনের ওপর ভিত্তি করে সাহায্য সীমিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়াও পাকিস্তানের অভ্যন্তরে মানবাধিকার লঙ্ঘন তদন্তেরও আহ্বান জানিয়েছেন তারা। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে লেখা চিঠি অনুসারে এ তথ্য জানা গেছে।
মিনেসোটার ইলহান ওমর এবং টেক্সাসের রিপাবলিকান গ্রেগ ক্যাসারের নেতৃত্বে চিঠিটি ‘পাকিস্তানে চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে, যা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সামরিক-ছত্রছায়ায় অপসারণের পর থেকে রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে। খবর ডনের
ইমরান খানকে গত বছর সামরিক বাহিনী ও তার বেসামরিক বিরোধীদের সংগঠিত অনাস্থা ভোটের পর অপসারণ করা হয়।
আরও পড়ুন: আইএমএফের ঋণ নেওয়া ছাড়া উপায় নেই: পাকিস্তান
দ্য ইন্টারসেপ্টের আগস্টে প্রকাশিত একটি শ্রেণীবদ্ধ পাকিস্তানি গোয়েন্দা নথি অনুসারে, ইমরান খানকে অপসারণের প্রচেষ্টাও আংশিকভাবে মার্কিন সরকারের চাপের কারণে হয়েছিল, যা স্টেট ডিপার্টমেন্টের কূটনীতিকরা ব্যক্তিগতভাবে খানের ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপারে ‘আক্রমণাত্মকভাবে নিরপেক্ষ’ অবস্থানের বিরোধিতা করেছিল।
মার্কিন কংগ্রেসের এসব সদস্য বাইডেন প্রশাসনকে পাকিস্তানকে ভবিষ্যতে মার্কিন সহায়তা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন, যতক্ষণ না দেশটি সাংবিধানিক শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করে এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না করে।
আইন প্রণেতারা লেহি আইন এবং বিদেশী সহায়তা আইনের অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সহায়তা পাকিস্তানে মানবাধিকার লঙ্ঘনকে সহজতর করেছে কিনা তা মূল্যায়ন করার জন্য স্টেট ডিপার্টমেন্টের কাছ থেকে একটি আইনি সিদ্ধান্তের অনুরোধ করেন।
জাস্ট ফরেন পলিসি নীতি উপদেষ্টা এবং দ্য ইন্টারসেপ্টের সাবেক রিপোর্টার আইদা শ্যাভেজ বলেন, ‘পাকিস্তান বিশ্বের পঞ্চম সর্বাধিক জনবহুল দেশ এবং শীতল যুদ্ধের পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রধান সামরিক অংশীদার ছিল, তবে কংগ্রেসের হলগুলোতে এটি যে খুব কম মনোযোগ পায় তা থেকে আপনি এটি জানতে পারবেন না।’
আরও পড়ুন: প্রতিবাদ সত্ত্বেও পাকিস্তানের চমন সীমান্তে নতুন ভিসানীতি
তিনি বলেন, ‘ইলহান ওমর এবং ক্যাসারের এ চিঠিটি এমন একটি সময়ে একটি কাক্সিক্ষত পরিবর্তন যখন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী নিয়মতান্ত্রিকভাবে মার্কিন সমর্থনে তার রাজনৈতিক বিরোধিতাকে নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছে। বাইডেন এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের কাছে আমাদের ন্যূনতম যেটা আশা করা উচিত তা হল পাকিস্তানকে নিরাপত্তা সহায়তা নিশ্চিত করা যেটা লেহি আইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ এবং এ চিঠিটি সে দাবিই করে।’
চিঠিটি এমন সংবাদের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে যে, বর্তমানে কারাবন্দী খান একটি গোপন বিচারের সম্মুখীন এবং সম্ভাব্য মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি।
একে