images

আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনের আল-শিফা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ইসরায়েলি সেনারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৫ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:১০ এএম

ফিলিস্তিনের আল-শিফা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রবেশ করেছে ইসরায়েলি সেনারা। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আল-জাজিরা এ খবর দিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ইসরায়েলি ট্যাঙ্কগুলো আল-শিফা হাসপাতাল কমপ্লেক্সে চলে এসেছে।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অসংখ্য ইসরায়েলি সেনা আল-শিফা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভবনে প্রবেশ করেছে।’

হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন যে সেখানে এখন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন: ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের ছায়া কলকাতায়!

আল-জাজিরাকে ডক্টর আহমেদ মোখাল্লালাতি বলেন, ‘আমরা জানি না তারা আমাদের কী করবে। আমরা জানি না তারা সাধারণ মানুষকে হত্যা করবে - নাকি সেখানে তাণ্ডব চালাবে। আমরা শুধু এটা জানি যে তারা মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। এটা ইসরায়েলিরাও জানে যে আল-শিফা হাসপাতালে কোনো কিছু নেই। তারপরেও তারা এখানে উগ্রবাদী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। 

এ বিষয়ে হামাস বলেছে, আল-শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট অনুমতি দিয়েছেন। জো বাইডেনের সবুজ সংকেত পেয়েই ইসরায়েলি সেনারা এ বর্বর অভিযান চালিয়েছে।

ফিলিস্তিনি সংগঠনটি বলেছে, ইসরায়েলিরা শিশু, রোগী এবং নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যায় জড়িত। তাদের জবাবদিহি করতে হবে।

আরও পড়ুন: ‘গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন’

হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েলের মিথ্যাচারকে গ্রহণ করেছে হোয়াইট হাউস এবং পেন্টাগন। তারা আল-শিফা হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে আরও গণহত্যা করার জন্য ইসরায়েলকে অনুমতি দিয়েছেন। ইসরায়েলিরা উত্তর গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করেছে। তারা আবারও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করতে চাইছে।

অপরদিকে ইসরায়েল বলেছে যে হামাস যোদ্ধারা আল-শিফা হাসপাতালের ভিতরে এবং নীচে কাজ করছে - যেখানে ইসরায়েলি জিম্মিরা থাকতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ইসরায়েলের দাবিকে সঠিক বলে মনে করছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল তাদের এ দাবির বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো প্রমাণ দেয়নি।

সূত্র : আল-জাজিরা, মিডল ইস্ট আই

এমইউ