images

আন্তর্জাতিক

‘গাজার আল-শিফা হাসপাতাল এখন কবরস্থান’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৪ নভেম্বর ২০২৩, ০২:৩৯ পিএম

গাজায় থাকা সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফা এখন প্রায় ‘একটি কবরস্থান’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ মন্তব্য করেছে। এ হাসপাতালটির ভেতরে এবং বাইরে লাশ জড়ো করে রাখা হয়েছে।

গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত আল-শিফা হাসপাতালটি গত কয়েক দিন ধরে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে ফ্রন্টলাইন বা সম্মুখ সারিতে পড়ে গেছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ দাবি করেছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত আল-শিফা হাসপাতালটির নিচে সুড়ঙ্গে একটি কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল কেন্দ্র পরিচালনা করছে হামাস। তবে এ দাবি অস্বীকার করেছে হামাস ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র ক্রিস্টিয়ান লিন্ডমিয়ার বলেছেন, এই মূহুর্তে হাসপাতালটিতে প্রায় ছয় শতাধিক মানুষ আটকে পড়েছেন। হলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন আরও অনেক মানুষ।

তিনি বলেন, “হাসপাতালের চারপাশে লাশ পড়ে আছে। যাদের মরদেহ দাফন করা যাচ্ছে না, বা সরিয়ে অন্য কোনো মর্গে নেওয়াও যাচ্ছে না - তাদের লাশ রয়েছে এখানে।”

লিন্ডমিয়ার আরও বলেন, “হাসপাতালটির যেভাবে কাজ করা দরকার, এটি আর সেভাবে কাজ করতে পারছে না। এটা এখন প্রায় একটি কবরস্থান।”

চিকিৎসকরাও জানিয়েছেন, হাসপাতালে মরদেহ জড়ো করে রাখা হয়েছে এবং সেগুলো পঁচতে শুরু করেছে।

আল-শিফার চিকিৎসক ডা. মোহামেদ আবু সেলমিয়া বলেছেন, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এখনও পঁচতে থাকা লাশগুলো হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নিয়ে দাফন করার অনুমতি দেয়নি।

এর মধ্যে কুকুরগুলো হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ঢুকে মরদেহগুলো খেতে শুরু করেছে।

এছাড়া আরও কয়েক ডজন অপরিণত নবজাতকের জীবন নিয়েও শঙ্কা তৈরি হচ্ছে, কারণ বিদ্যুৎ না থাকার কারণে তাদেরকে আর ইনকিউবেটরে রাখা যাচ্ছে না।

সেলমিয়া জানিয়েছেন, ওই শিশুদের মধ্যে সাতটি শিশু অক্সিজেনের অভাবে এরইমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মার্ক রেগেভ বলেছেন, ইসরায়েল হাসপাতাল থেকে শিশুদের সরিয়ে নেওয়ার “বাস্তবসম্মত সমাধান” দিয়েছে - কিন্তু হামাস তাতে রাজি হচ্ছে না।

আল-শিফার সঙ্গে সঙ্গে গাজার অন্য হাসপাতালগুলো থেকেও নানান ধরণের অভিযোগ আসছে।

চলমান সংঘাত ও ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞার কারণে এসব হাসপাতালে চিকিৎসা সরবরাহ এবং বিদ্যুৎ পৌছাচ্ছে না বলে জানা গেছে।

সূত্র : বিবিসি

এমইউ