images

আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ, ভিন্ন পথে বাড়িতে ঢুকলেন বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১২ নভেম্বর ২০২৩, ০১:৩৬ পিএম

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সব ধরনের সহায়তা নিয়ে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র গাজায় বেসামরিক লোকদের ওপর হামলা না করার অনুরোধ জানালেও সেটি মানছে না ইসরায়েল। এমন অবস্থায় যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেছেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় প্রধান সড়ক এড়িয়ে ভিন্ন পথে বাড়িতে প্রবেশ করেন বাইডেন।

দ্য হিলের খবরে বলা হয়েছে, শনিবার যুদ্ধবিরতির দাবিতে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ডেলাওয়ারের বাড়ির কাছে জড়ো হন।

শনিবার দেশটির ডেলওয়ার অঙ্গরাজ্যের উইলমিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ব্যক্তিগত বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনসহ বিভিন্ন কমিউনিটির শত শত মানুষ। এ সময় ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয়ার পাশাপাশি যুদ্ধবিরতির দাবি জানান তারা।

ভেটেরান্স ডে উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ডেলাওয়ারে পৌঁছালে তার উপস্থিতিতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন আন্দোলনকারীরা। তবে বিক্ষোভকারীদের পাশ কাটিয়ে প্রেসিডেন্টের মোটর শোভাযাত্রা প্রধান সড়ক ব্যবহার না করে অন্য পথে বাড়িতে প্রবেশ করে।

সাধারণ ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বর হামলার প্রতিবাদে উত্তপ্ত যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি। বিরোধীদল ছাড়াও ইসরাইলকে বিবেকশূন্য অন্ধ সমর্থনে নিজ দলেই ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস-এনওআরসি সেন্টার ফর পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের একটি জরিপে দেখা গেছে, ৫০ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বাইডেনকে সমর্থন করলেও ৪৬ শতাংশ তার নেয়া সিদ্ধান্তগুলোয় অনাস্থা জানিয়েছেন।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার কয়েকটি হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। জ্বালানির অভাবে গাজার প্রায় সব হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। সর্বাত্মক অবরোধে থাকা গাজায় বিরাজ করছে ভয়াবহ অবস্থা। সেখানে হাজার হাজার মানুষ ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

মিশরের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ ত্রাণ গাজায় প্রবেশ করছে। তবে সেখানকার ২৩ লাখ মানুষের জন্য এসব ত্রাণ সামান্য। গাজার ভয়াবহ অবস্থার কথা জানিয়েছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। এছাড়া অল্প যে পরিমাণ ত্রাণ গাজায় প্রবেশ করছে তার মধ্যে জ্বালানি নেই। জ্বালানির অভাবে গাজার প্রায় সবগুলো হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ৩৫ দিনের বেশি সময় ধরে অকাতরে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে দখলদার ইসরায়েল। এমন অবস্থার মধ্যে মুসলিম ও আরব বিশ্বের নেতারা সৌদি আরবে একত্রিত হয়েছিলেন। তবে সম্মেলনে ফিলিস্তিন ইস্যুতে এখনও তারা দৃঢ় কোনো পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকা গত ৩৫ দিনে ভয়াবহ হামলায় ১১ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এর মধ্যে সাড়ে চার হাজারের বেশি শিশু এবং প্রায় তিন হাজারের বেশি নারী। নিহতদের মধ্যে প্রায় সবাই বেসামরিক এবং সাধারণ ফিলিস্তিনি। ইসরায়েল যে হামাসকে নির্মূলে এই নৃসংস অভিযান পরিচালনা করছে, সেই হামাসের টিকিটিও খুঁজে পাচ্ছে না তারা। এর ফলে সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করছে।

একে