আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১১ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:০১ পিএম
গাজা যুদ্ধ বন্ধে সৌদি আরবে অনুষ্ঠয়ে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসি’র বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন ইসলামিক ও আরব বিশ্বের শীর্ষ নেতারা। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এ খবর দিয়েছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসন এবং ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ ও যুদ্ধাপরাধের বিষয়টি সম্মেলনে বিশেষ গুরুত্ব পাবে।
‘ইসলামিক ও আরব সম্মেলন’ নামক এ জরুরি বৈঠকে অংশ নিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদ।
আজ (শনিবার) প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রায়িসি সৌদি আরব গেছেন। এর আগে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেওয়ার সময় তেহরানের মেহরাবাদ বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, “আজকাল গাজা উপত্যকায় যা হচ্ছে তা যদি মানবতাবিরোধী অপরাধ না হয়, তাহলে গণহত্যার সবচেয়ে ভালো উদাহরণ আর কী হতে পারে?”
প্রেসিডেন্ট রায়িসি বলেন, “আমেরিকা ঘোষণা করেছে যে তারা চায় না এই যুদ্ধের বিস্তার ঘটুক এবং এ বিষয়ে ইরান ও কিছু দেশের কাছে বার্তা পাঠিয়েছে। কিন্তু এই বিবৃতির সঙ্গে তাদের কাজের মিল নেই। আমেরিকা গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধ মেশিনকে পরিচালনা করছে। গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে তারা বাধা দিচ্ছে এবং এই যুদ্ধের বিস্তার ঘটানোর ব্যবস্থা করছে। আমেরিকার এই আসল চেহারা সারা বিশ্বের কাছে উন্মোচন করে দেওয়া দরকার।”
ওআইসি’র বিশেষ এই শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানকারী দেশগুলোর নেতারা গাজার নিপীড়িত অসহায় মানুষের জন্য মানবিক ত্রাণ পাঠানোর উপায় নিয়েও আলোচনা করবেন।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজার নিরপরাধ মানুষের ওপর ভয়াবহ বোমা হামলা শুরুর পর থেকে ইরানের প্রেসিডেন্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন এবং ওআইসি’র বিশেষ সম্মেলন ডাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায়। সেদিন থেকেই ইসরায়েলের বিমানবাহিনী গাজায় ভয়াবহ রক্তাক্ত অভিযান শুরু করে যা এখন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে।
ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’
সূত্র : আল-জাজিরা, প্রেস টিভি
এমইউ