images

আন্তর্জাতিক

ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৯ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:২৯ পিএম

ইসরায়েলে গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের একটি বড় ধরনের সামরিক অভিযান ঠেকাতে ব্যর্থ হয়। এ কারণে নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে দায়ী করেছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তারপর এভাবে দোষারোপ করার জন্য সেসব সংস্থার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমার ভুল হয়েছিল। আমি যা বলেছিলাম, তা আসলে বলা উচিত হয়নি। এ কারণে আমি ক্ষমা চাই। তবে এ ব্যর্থতার দায় বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার প্রধানদের ওপর বর্তায় বলে মনে করি।’

এর আগে  ইসরায়েলের যুদ্ধবাজ এ প্রধানমন্ত্রী গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের আল-আকসা তুফান অভিযান প্রতিহত করতে ‘ভয়াবহ ব্যর্থতার’ কথা স্বীকার করেছেন। হামাসের ওই অভিযানের পর গতকাল (শনিবার) প্রথমবারের মতো তেল আবিবে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ ব্যর্থতা স্বীকার করেন।

তবে ব্যক্তিগতভাবে ব্যর্থতার দায় মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, “যুদ্ধ শেষ হলে আমরা সবাই কিছু কঠিন প্রশ্নের সম্মুখীন হবো। সেখানে আমিও থাকব। আমরা একটি ভয়াবহ ব্যর্থতার সম্মুখীন হয়েছি, আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি এই ব্যর্থতার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হবে। কোনো একটি দিকও বাদ রাখা হবে না।”

অন্যদিকে নেতানিয়াহু সামাজিক মাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে এ দাবির সত্যতা অস্বীকার করেন যে হামাসের গত ৭ অক্টোবরের হামলার অনেক আগেই তাকে এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছিল।  তিনি হামাসের অভিযান সম্পর্কে আগেভাগে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে ব্যর্থতার জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা প্রধান আহারোন হালিভা ও কুখ্যাত ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রধান রোনেন বারকে দায়ী করেন।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর পোস্টে বলা হয়, “কোনো পরিস্থিতিতে এবং কোনো পর্যায়েই আমাকে হামাসের যুদ্ধ করার পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করা হয়নি। সকল নিরাপত্তা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা তাদের মূল্যায়নে বারবার একথাই জানাচ্ছে [যে, আমাকে অবহিত করা হয়নি]।”

বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির অধিকারী ও চৌকস সেনাবাহিনীর দাবিদার ইসরায়েল গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের একটি বড় ধরনের অভিযান ঠেকাতে ব্যর্থ হয়। হামাসের হাজার হাজার যোদ্ধা হঠাৎ করে ইসরায়েলে ঢুকে গিয়ে শত শত ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা ও বহু লোককে বন্দী করে আবার গাজা উপত্যকায় ফিরে আসেন। ওই অভিযান দিনব্যাপী স্থায়ী হলেও হামাসের যোদ্ধাদেরকে ইসরায়েলি সেনাদের কোনো প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়নি।

সূত্র : আল-জাজিরা, মিডল ইস্ট আই

এমইউ