images

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহর দেড় লাখ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:৫৬ পিএম

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহ দেড় লাখ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে রেখেছে। এ বিষয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী তার ইসরায়েলি প্রতিপক্ষের সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছিলেন, ‘আমরা এখন এমন এক পর্যায়ে আছি যেখানে হিজবুল্লাহর কাছে বিশ্বের বেশিরভাগ সরকারের চেয়ে অনেক বেশি রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।’

এটা ২০১০ সালের তথ্য। ওই সময় এহুদ বারাকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছিলেন রবার্ট গেটস। কিন্তু এখন হিজবুল্লাহ আরও শক্তিশালী হয়েছে।

ইরানের সহায়তা এবং সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে অংশ নিয়ে লেবাননের এ সংগঠনটি তার রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিভিন্ন অস্ত্রের মজুদ ব্যাপকভাবে প্রসারিত এবং উন্নত করেছে।

জনসাধারণে সাম্প্রতিক হিসাব অনুযায়ী, হিজবুল্লাহর প্রায় দেড় লাখ রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগেরই রেঞ্জ কয়েক ডজন কিলোমিটার। তবে বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেবানন থেকে শত শত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার সক্ষমতা আছে তাদের।

হিজবুল্লাহ হলো বিশ্বের সবচেয়ে ভারী অস্ত্রধারী অ-রাষ্ট্রীয় সংগঠন। ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের গবেষকরা ২০১৮ সালে ইসরায়েলের ঠিক উত্তরে অবস্থিত প্রাণঘাতী অস্ত্রাগারের একটি বিস্তৃত প্রতিবেদনের কথা জানিয়েছেন। তারা জানান, এই দলটির কাছে ব্যালিস্টিক, অ্যান্টি-এয়ার, অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক এবং অ্যান্টি-শিপ মিসাইলের পাশাপাশি "ডাম্ব" রকেট আর্টিলারির বিশাল এবং বৈচিত্র্যময় মজুদ রয়েছে।

এই সপ্তাহে হারেৎজের সঙ্গে একটি কথোপকথনে গবেষক শান শেখ বলেন, ‘সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে অংশ নিয়ে হিজবুল্লাহ অত্যাধুনিক ও নিখুঁত নিশানায় নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র পেয়েছে। এগুলো তারা সিরিয়া, ইরান বা রাশিয়া থেকে পেয়েছে। এছাড়া হিজবুল্লাহর কাছে আছে দূরপাল্লার স্ট্যান্ডঅফ মিসাইল। বহু দূর থেকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত থেকে এ ক্ষেপণাস্ত্র বা মিসাইল নিক্ষেপ করা যায়।

সম্প্রতি ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজ দ্বারা প্রকাশিত একটি নিবন্ধ অনুসারে, হিজবুল্লাহর কাছে প্রায় ৪০ হাজার স্বল্প-পাল্লার গ্র্যাড-টাইপ রকেট রয়েছে। এছাড়া ৮০ হাজার ফজর-৩, ফজর-৫ খাইবার এবং রাদ মাঝারি-দূর-পাল্লার রকেট আছে।

লেবাননের এ সংগঠনটির কাছে আছে ৩০ হাজার দূরপাল্লার জেলজাল রকেট ও ফাতেহ-১১০ ক্ষেপণাস্ত্র। তারা সিরিয়া থেকে সীমিত সংখ্যক স্কাড-টাইপ মিসাইলও পেয়েছে। প্রায় ৫০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক বহন করতে পারা কয়েক শ’ ফাতেহ-১১০ ক্ষেপণাস্ত্রও আছে হিজবুল্লাহর। এগুলো সুনির্দিষ্ট জিপিএস নেভিগেশন মেকানিজম দিয়ে সজ্জিত। এ কারণে ফাতেহ-১১০ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিখুঁত নিশানায় নিক্ষেপযোগ্য এবং ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা সম্পন্ন।

ইসরায়েলের সামরিক ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমান করছে যে হিজবুল্লাহ যুদ্ধের প্রথম কয়েক দিনে কয়েক হাজার রকেট নিক্ষেপ করতে পারে। যুদ্ধের বাকি দিনগুলোতে তারা ১৫,০০ করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করবে।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে দ্বিতীয় লেবানন যুদ্ধের সময় হিজবুল্লাহ প্রতিদিন ইসরায়েলে প্রায় ২০০টি রকেট নিক্ষেপ করেছে।

সূত্র : হারেৎজ

এমইউ