images

আন্তর্জাতিক

কিমের বুলেটপ্রুফ অভিজাত ট্রেনে যা আছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:২৯ এএম

একটি বুলেটপ্রুফ অভিজাত ট্রেনে করে রাশিয়ার বন্দর শহর ভ্লাদিভোস্তকে গিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আন। এরপর তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষৎ করবেন এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হবে।

কিমের রাশিয়া সফরের বিষয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ সফর হবে।

তিনি বলেন, ‘দু’দেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যে আলোচনা হবে। এরপর উভয় দেশের নেতারা একের পর এক বৈঠকে আলোচনা চালিয়ে যাবেন।’

আরও পড়ুন: অস্ত্র চুক্তি হলে উ.কোরিয়াকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

উত্তর কোরিয়ার অন্য নেতাদের মতোই দেশটির দীর্ঘ দিনের রীতি মেনে কিম ২০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ১১৮০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছেন ধীর গতির ট্রেনে। যেখানে একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে - যাতে উৎকৃষ্ট মানের ফরাসি ওয়াইন এবং খাবার যেমন তাজা গলদা চিংড়ি দিয়ে তৈরি খাবারও পরিবেশন করা হয়।

তার সাঁজোয়া ট্রেনটিতে কমপক্ষে ২০টি বুলেট প্রুফ গাড়ি রয়েছে যা ট্রেনটিকে সাধারণ ট্রেনের তুলনায় অনেক বেশী ভারী করেছে এবং এ কারণেই এটি ঘণ্টায় ৫৯ কিলোমিটারের বেশি বেগে চলতে পারবে না। ভ্লাদিভোস্তকে পৌঁছাতে তার পুরো দিন লেগে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তুলনা হিসেবে বলা যায়, লন্ডনের উচ্চ-গতির রেলগুলো ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার এবং জাপানের শিনকানসেন বুলেট ট্রেন ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার বেগে চলে।

উত্তর কোরিয়ার প্রাচীন রেল নেটওয়ার্কের কারণেও অনেক সময় যাত্রা দীর্ঘ হয়।

ট্রেনটির নামকরণ করা হয়েছে তাইয়াংহো যার অর্থ সূর্য্য এবং এর মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সাংকেও প্রতীকিভাবে তুলে ধরা হয়।

দীর্ঘ সময় ধরে ট্রেন যাত্রার রীতি প্রথম শুরু করেন কিম জং আনের দাদা কিম ইল সাং।

দীর্ঘ সময় ধরে ট্রেন যাত্রার রীতি প্রথম শুরু করেন কিম জং আনের দাদা কিম ইল সাং। তিনি নিজের ট্রেনে করে ভিয়েতনাম এবং পশ্চিম ইউরোপের দেশে গিয়েছিলেন।

এই অভিজাত ট্রেনগুলো নিরাপত্তা এজেন্টরা কড়া পাহারা দিয়ে থাকে এবং তারা ট্রেনের যাত্রাপথ এবং সামনের স্টেশনে বোমা বা কোন হুমকির শঙ্কা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখে।

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে রাশিয়ায় কিম জং উন

কিম জং উনের বাবা কিম জং ইল যিনি ১৯৯৪ সাল থেকে শুরু করে ২০১১ সালে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া শাসন করেছেন, তিনিও ট্রেনে করে ভ্রমণ করতেন তার বিমানে ভয় থাকার কারণে।

এর আগে ২০০১ সালে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে মস্কোতে পৌঁছাতে ১০ দিন সময় লেগেছিল কিম জং ইলের।

রাশিয়ার সামরিক কমান্ডার কন্সট্যানটিন পুলিকোভস্কি যিনি উত্তর কোরিয়ার সাবেক নেতার সঙ্গে ২০০১ সালে একই ট্রেনে ভ্রমণ করেছিলেন, তিনি তার স্মৃতিকথা ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেসে লিখেছেন ট্রেনের আভিজাত্যের বিষয়ে।

“রাশিয়ান, চাইনিজ, কোরিয়ান, জাপানিজ এবং ফ্রেঞ্চ- যেকোন ধরনের খাবারের অর্ডার দেওয়ার সুযোগ ছিল এই ট্রেনে।”

সূত্র : বিবিসি

এমইউ