আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:১৫ এএম
রাশিয়ার কাছে অস্ত্র চুক্তি করলে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলেছে, ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করলে তারা ‘জবাবদিহি করবে’। ওয়াশিংটন কয়েক মাস ধরে বলে আসছে যে পিয়ংইয়ং মস্কোর কাছে অস্ত্র বিক্রি করতে পারে। এরপরই এমন হুমকি দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের বলেছেন, "আমি উভয় দেশকেই মনে করিয়ে দেব যে উত্তর কোরিয়া থেকে রাশিয়ায় অস্ত্র হস্তান্তর করা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক প্রস্তাবের লঙ্ঘন হবে।"
"অবশ্যই, আমরা আক্রমণাত্মকভাবে রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টায় অর্থায়নকারী সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রয়োগ করেছি এবং আমরা সেই নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রয়োগ করতে থাকব এবং উপযুক্ত হলে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে দ্বিধা করব না।"
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে রাশিয়ায় কিম জং উন
হোয়াইট হাউস বলেছে, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে অস্ত্র সহযোগিতার বিষয়টি ‘সক্রিয়ভাবে এগিয়ে চলেছে’ বলে তাদের কাছে নতুন তথ্য রয়েছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু উত্তর কোরিয়ার তার সাম্প্রতিক সফরের সময় রাশিয়ার কাছে ‘পিয়ংইয়ংকে আর্টিলারি গোলাবারুদ বিক্রিতে রাজি করাতে’ চেষ্টা করেছেন।
ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক কার্নেগি এনডোমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সদস্য অঙ্কিত পান্ডে বলেন, রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া প্রত্যেকের এমন কিছু জিনিসপত্র রয়েছে যা অন্যান্য দেশও চায়।
তিনি বিবিসিকে বলেন, “এখন যেটি দেখার বিষয় হবে সেটি হচ্ছে পরস্পরকে সহযোগীতা করতে তারা নিজেদের সুবিধাজনক কোনো মূল্য খুঁজে পায় কিনা।”
রাশিয়া হয়তো উত্তর কোরিয়ার কাছে খাবার ও কাঁচামালের বিনিময়ে আর্টিলারি শেল এবং রকেট আর্টিলারির মতো প্রচলিত যুদ্ধাস্ত্রই চাইবে। একইসাথে তারা জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে উত্তর কোরিয়ার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
“এর মাধ্যমে রাশিয়ায় উত্তর কোরিয়ার অত্যাধুনিক অস্ত্র-শস্ত্র স্থানান্তর করার সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে যাতে করে মস্কো তার নিজের প্রচলিত অস্ত্রের মজুদ আবার পূরণ করে তা ধরে রাখতে পারে।”
ধারণা করা হয় যে, রাশিয়ার হয়তো ১২২এমএম এবং ১৫২এমএম কার্তুজ দরকার কারণ তাদের মজুদ শেষ হয়ে আসছে। কিন্তু গোপনীয়তার স্বভাবের কারণে উত্তর কোরিয়ার কাছে কী পরিমাণ অস্ত্র মজুদ রয়েছে তা অনুমান করা সহজ নয়।
সূত্র : আল-জাজিরা, বিবিসি
এমইউ